ভাষার টানে সীমান্তর শূন্যরেখা পরিণত দুই বাংলার মিলনমেলায়
আন্তর্জাতিক ভাষা দিবসে ভৌগোলিক সীমারেখা ভুলে কেবলমাত্র ভাষার টানে বিজিবি-বিএসএফ পরস্পরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছে। কাঁটাতার পেরিয়ে সীমান্তর শূন্যরেখা পরিণত হয় দুই বাংলার মিলনমেলায়।
আজ শুক্রবার সকালে সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া উপেক্ষা করে বেনাপোল-পেট্রাপোল সীমান্তের নো-ম্যান্স ল্যান্ডে অস্থায়ী শহীদ বেদী দুই বাংলার মানুষের শ্রদ্ধায় সিক্ত হয়।
এবার দুই দেশ আলাদাভাবে মঞ্চ তৈরি করে এই মিলন মেলার আয়োজন করে। দুই বাংলার সাধারণ মানুষ, রাজনৈতিক, সামাজিক, ব্যবসায়ীক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সরকারের প্রতিনিধিরা সেখানে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’ এই গানের সুরে ভাষা শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধায় মাথানত করতে বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে মিলিত হন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরাও।
উক্ত অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে মঞ্চে সভাপতিত্ব করেন ৮৫ যশোর-১ শার্শা আসনের এমপি শেখ আফিল উদ্দিন। সীমান্তে নানা রঙয়ের ফেস্টুন, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, আর ফুল দিয়ে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় নো-ম্যান্স ল্যান্ড এলাকা।
দুই বাংলার ভাষাপ্রেমীরা একে অপরকে বুকে জড়িয়ে ধরে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে মিষ্টি বিতরণ করে তারা পরস্পরকে বরণ করে নেন। অনুষ্ঠানে উভয় দেশের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন ও আবৃত্তি করেন।
পুরো অনুষ্ঠানে নেওয়া হয় নজিরবিহীন নিরাপত্তা। সীমান্ত টপকে যাতে কেউ অবৈধভাবে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য বিজিবি ও বিএসএফ ছিল সর্বদা সতর্কাবস্থায়। অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয় দুই সীমান্তে।
ভাষা দিবসের মিলনমেলায় বিজিবি-বিএসএফকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানায়। এরপর দু দেশের জাতীয় পতাকা উড়িয়ে হাজার হাজার ভাষাপ্রেমী মানুষ দিবসটি উদযাপন করে। ♦