মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা, কমাতে হবে পরীক্ষাঃ শেখ হাসিনা
দশম শ্রেণীর মাধ্যমিক পরিক্ষার গণ্ডি পেরুনোর আগেই বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের আরও দুটি কঠিন পরিক্ষার সম্মুখীন হতে হয়। সেই পরীক্ষাগুলো হচ্ছে, পঞ্চম শ্রেণীর প্রাইমারী স্কুল সার্টিফিকেট (পিএসসি) এবং অষ্টম শ্রেণীর জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি)। খালি পরীক্ষা আর পরীক্ষা। সারাদিনের স্কুল শেষে বিকেলে থেকে রাত পর্যন্ত চলে কোচিং। বন্ধ খেলাধুলা, নেই কোন আনন্দ। বাংলাদেশের প্রচলিত শিক্ষা নিয়মের এমন অসহনীয় পরিস্থিতিতে, শিক্ষার্থী সহ অভিভাবকদের ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা।
অবশেষে এই বিষয়ে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করলেন স্বয়ং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি মনে করেন, বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। পরীক্ষা নিতে নিতে শেষ করে দিচ্ছি বাচ্চাদের। খালি পরীক্ষা আর পরীক্ষা। বর্তমানে যে পিইসি পরীক্ষা নেয়া হয়, এটা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। বিভক্ত বিশেষজ্ঞরাও। তিনিও (প্রধানমন্ত্রী) এর সঙ্গে একমত।মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) শেরেবাংলা নগরে অনুষ্ঠিত ২৩তম জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠক শেষে এসব তথ্য জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
শিক্ষা জাতির মেরুদণ্ড। আর এই শিক্ষার শুরু যাদের দিয়ে, সেই শিশুরাই এখন লেখাপড়ার চাপে ঢলে পরার উপক্রম।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার বরাতে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘বাচ্চাদের সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী অনেক কথা বলেছেন এবং আলোচনা করেছেন। (বাচ্চারা) অনেক বেশি বই কাঁধে নিয়ে ঘোরে, কষ্ট হয়। আজকেও বিষয়টি বলেছেন। পরীক্ষা নিতে নিতে শেষ করে দিচ্ছি বাচ্চাদের। খালি পরীক্ষা, খালি পরীক্ষা। উনি মনে করেন, বেশি বাড়াবাড়ি হয়ে যাচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে, এ বিষয়ে আরও নতুন নতুন চিন্তাভাবনা করার জন্য। মূল কথা হলো-শিশুদেরকে এই ভার থেকে মুক্ত করতে হবে। তারা যেন খেলাধুলা করতে পারে। শিশুদের বইয়ের ভার কমাও, আনন্দে থাকতে দাও ইত্যাদি।
পরিকল্পনামন্ত্রী আরো বলেন, বিষয়টি (পিইসি পরীক্ষা থাকবে কি-না) নিয়ে বিশেষজ্ঞরাও বিভক্ত। কোনো বিশেষজ্ঞ বলে ভালো, কোনো বিশেষজ্ঞ বলে ভালো নয়। এটা আন্ডার রিভিউ পর্যায়ে রয়েছে।