মানুষ হয়ে বিপদে আছি, চারপাশে সব ফেরেশতা: অপু বিশ্বাস
ঢাকাই সিনেমার শীর্ষ নায়ক শাকিব খানের সাবেক দুই স্ত্রী অপু-বুবলী দ্বন্দ্বে জড়িয়েছেন বছরব্যাপী। শাকিব বরাবরই জানিয়েছেন, তাঁর জীবনে ভবিষ্যতে অপু-বুবলীকে নিয়ে নতুন কোনো সম্পর্কের শুরুর সম্ভাবনা নেই। নায়কের এমন অবস্থানের পর থেকেই বিভিন্ন সময় এ দুই নায়িকা পরস্পরবিরোধী বিভিন্ন বক্তব্য দিয়েছেন। কখনো আকার-ইঙ্গিতে একে অন্যকে নিশানা করেছেন, আবার কখনো প্রত্যক্ষভাবেই আক্রমণ করে কথা বলেছেন দুজন।
সবশেষ এই দুই নায়িকার কোন্দল দেখা যায় একটি অডিওকে কেন্দ্র করে। এর সূত্রপাত ফারজানা মুন্নীর এক ফেসবুক স্ট্যাটাস ঘিরে। যেখানে তিনি দাবি করেন, তাঁর স্বামী কৌশিক হাসান তাপসের সঙ্গে প্রেম করছেন নায়িকা বুবলী।
এর কদিন পর ‘তাপস-বুবলীর প্রেম’ নিয়ে কথোপকথনের একটি অডিও রেকর্ড ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। তাতে মুন্নীর কণ্ঠ পাওয়া গেলেও অপর প্রান্তে কে ছিল তা স্পষ্ট নয়। তবে কথোপকথনের মধ্যে মুন্নী বারবার ‘অপু’ ‘অপু’ বলে সংবোধন করছিলেন। ১৩ মিনিটের ওই অডিওতে অপুর কোনো কথা শোনা যায়নি। শুধু ফারজানা মুন্নীর অংশটুকুই রাখা হয়। যেখানে বুবলীকে নিয়ে বেশ কিছু অভিযোগ করেন মুন্নী।
চ্যানেল আইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সেই ফোনালাপ প্রসঙ্গে মুখ খুলেছেন ফারজানা মুন্নী। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, অপু বিশ্বাস তাঁর অনুমতি না নিয়েই কলটি রেকর্ড করেছেন। তখন তিনি মানসিকভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ছিলেন না।
স্বাভাবিকভাবেই এই সাক্ষাৎকারটি প্রকাশের পর তাপসের নামের সঙ্গে বুবলীর প্রেমের সম্পর্কের ‘বদনাম’ ঘুচল। আর সে কারণেই এই নায়িকা তাপস-মুন্নী দম্পতির ওই সাক্ষাৎকারটি ফেসবুকে শেয়ার করে তাঁদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে লিখেছেন, ‘আমাদের ইন্ডাস্ট্রির সবচেয়ে মার্জিত দম্পতি! কৌশিক হোসেন তাপস ভাইয়া ও ফারজানা মুন্নী আপুর প্রতি শ্রদ্ধা রইল।’
এদিকে এই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পরেই গতকাল বুধবার মধ্যরাতে ফেসবুকে রহস্যময় এক পোস্ট দেন অপু বিশ্বাস। যেখানে তিনি কারও নাম না নিলেও, নেটিজেনদের মতে পরোক্ষভাবে বুবলী-তাপস-মুন্নীর বিষয়টিকেই ইঙ্গিত করেছেন অপু।
স্ট্যাটাসে এক থেকে তিন ক্রমবিন্যাস করে অট্টহাসির প্রতিক্রিয়ায় এই নায়িকা লিখেছেন, ‘মানুষ হয়ে বিপদে আছি। চারপাশে সব ফেরেশতা। এত দিন আমার আবেগ কাজ করেছে, বিবেক কাজ করেনি। স্ক্রিপ্ট অনেক দুর্বল।’
পোস্টটির মন্তব্যে কেউ কেউ নায়িকার পক্ষ নিয়েছেন। আবার কারও পরামর্শ, নিজেদের মধ্যে এসব কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ হোক।