Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
January 16, 2025
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকমিসরের কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ব্রাদারহুডের এমপি

মিসরের কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ব্রাদারহুডের এমপি

মিসরের কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেলেন ব্রাদারহুডের এমপি

মিসরের কুখ্যাত আল-আকরাব হাই সিকিউরিটি কারাগারে হামদি হাসান নামে মুসলিম ব্রাদারহুডের সাবেক এমপি মারা গেছেন।

মানবাধিকার সংস্থাগুলোর দাবি, কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন ব্রাদারহুডের সাবেক এই এমপি। খবর আরব নিউজের।

সাবেক এমপি হামদি হাসান গত বৃহস্পতিবার কুখ্যাত আল-আকরাব কারাগারে মারা যান। পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমপির পরিবার তার মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন।

কী কারণে কারাগারে তার মৃত্যু হয়েছে, কারা কর্তৃপক্ষ তা জানায়নি। তবে এল-শেহাব নামে দেশটির একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদের অফিসিয়াল ফেজবুক পেজে দাবি করেছে, ব্রাদারহুডের সাবেক এই এমপি কারাগারে বিনাচিকিৎসায় মারা গেছেন।

উল্লেখ্য, ২০১১ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি গণবিক্ষোভের মুখে হোসনি মোবারকের পতন হয়। এরই মধ্যে মুসলিম ব্রাদারহুডের রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকায় দলটির প্রত্যক্ষ সমর্থনে ‘মুসলিম ব্রাদারহুড ফ্রিডম অ্যান্ড জাস্টিস পার্টি’ (এফজেপি) নামে নতুন রাজনৈতিক দল গঠিত হলে মুরসি তার চেয়ারম্যান নিযুক্ত হন।

২০১২ সালে মে ও জুনে দুই পর্বের নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিপুল জনসমর্থনে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন মুরসি। এ সময় মুসলিম ব্রাদারহুড ও এফজেপি আনুষ্ঠানিকভাবে মোহাম্মদ মুরসিকে ‘মিসরের সর্বস্তরের মানুষের রাষ্ট্রপতি’ হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।

তবে ক্ষমতাগ্রহণ করেই দীর্ঘ সামরিক শাসনের যাঁতাকলে ক্ষয়িষ্ণু মিসরকে পতনের হাত থেকে রক্ষার জন্য দ্রুত কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি মুরসি।

সমালোচক ও বিরোধীদের ভাষ্য— মুরসি দেশের অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংকট মোকাবিলায় ব্যর্থ হয়েছিলেন। একই সঙ্গে তিনি দেশের স্বার্থের চেয়েও মুসলিম ব্রাদারহুডের ইসলামপন্থি কর্মসূচিকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছিলেন।

ক্ষমতাগ্রহণের মাত্র এক বছরের মধ্যেই মুরসি সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে নামে মিসরের জনগণ। এরই সুযোগ নিয়ে মুরসির বিরুদ্ধে ওই গণবিক্ষোভ ও অভ্যুত্থানে সমর্থন দেয় সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইলের মতো আঞ্চলিক শক্তিগুলো। সরকারিভাবে বিবৃতি দিয়ে মুরসি সমর্থকদের ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে আখ্যায়িত করে সৌদি আরব।

প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের পাশে দাঁড়ান মুরসি। দখলদার ইসরাইল অবরুদ্ধ গাজাবাসীর জন্য মিসরের সীমান্ত খুলে দিয়ে জেরুজালেম ও আল আকসা মসজিদের ওপর ফিলিস্তিনিদের নিয়ন্ত্রণের পক্ষে অবস্থান নেন তিনি।

একই সঙ্গে তিনি ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টাও করেন। তার এ দুটি পদক্ষেপই কাল হয়ে দাঁড়ায়। মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আদাজল খেয়ে মাঠে নামে সৌদি আরব, আরব আমিরাত ও ইসরাইল। অভিযোগ রয়েছে, মুরসির বিরুদ্ধে জনবিক্ষোভ উসকে দেওয়ার জন্য এ তিনটি দেশ বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছিল।

২০১৩ সালের ৩০ জুন মিসরজুড়ে রাস্তায় রাস্তায় মুরসির সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। এ সুযোগে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে ২০১৩ সালের ৩ জুলাই দেশটির তৎকালীন সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি মুরসিকে ক্ষমতাচ্যুত করে ও বন্দি করে।

মুরসির সঙ্গে তার দলের এমপিদেরও নানা অজুহাতে কারাগারে বন্দি করে ইসরাইলি প্রভাবদুষ্টু ফাত্তাহ আল সিসির সরকার। তাদের অনেকেই পরে বিনা চিকিৎসায় মারা যায়।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment