যুক্তরাষ্ট্র সীমান্তে অভিবাসী সংকট, জাতিসংঘের হস্তক্ষেপ চান টেক্সাসের মেয়র
যুক্তরাষ্ট্রে রেকর্ড অবৈধ অভিবাসী প্রবেশের ফলে দেশটির সীমান্ত অঞ্চলে মানবিক সংকট দেখা দিয়েছে। এই সংকট সমাধানে সহায়তার জন্য অন্যান্য দেশ, এমনকি জাতিসংঘের প্রতিও আহ্বান জানিয়েছেন সীমান্ত সংলগ্ন এক শহরের মেয়র।
রাশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ সীমান্তের টেক্সাস অঙ্গরাজ্যের এল পাসো শহরের মেয়র অস্কার লিজার অভিবাসী সংকটের বিষয়ে বলেছেন, ‘আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। এটি এল পাসোর সমস্যা নয়, এটি এর চেয়েও বড়। আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, এটি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়েও বড়। আমাদের জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করতে হবে। অন্য দেশের সঙ্গে কাজ করতে হবে, এমন একটি প্রোগ্রাম নিয়ে আসতে হবে, যাতে পরিস্থিতি মানবিক হয়ে উঠে।’
এল পাসো শহরের অবস্থান টেক্সাসের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণে, মেক্সিকোর জুয়ারেজ থেকে রিও গ্র্যান্ড নদীর ওপারে। সাম্প্রতিক সময়ে এই ছোট্ট শহর যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্ত সমস্যার কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠেছে। চলতি মাসেই হাজার হাজার অভিবাসী মেক্সিকো সীমান্ত পেরিয়ে এই শহরে প্রবেশ করেছে। গত সপ্তাহে এক রাতেই ১ হাজার শরণার্থীর একটি দল এল পাসোতে প্রবেশ করে।
সাংবাদিক কেটি ডেভিসকোর্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ফুটেজ প্রকাশ করেছেন। যেখানে দেখা গেছে এল পাসোর বিমানবন্দরে অনেক অভিবাসী রেড ক্রসের কম্বল গায়ে দিয়ে ঘুমাচ্ছে। এ ছাড়া শহরটি দুইটিক খালি স্কুলও অভিবাসীদের আশ্রয় দিতে বরাদ্দ করেছে।
এল পাসোর কর্মকর্তারা সংকট মোকাবিলাত সহায়তা করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার, রেড ক্রস এবং অন্যান্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছে। এমন পরিস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন প্রক্রিয়াকে ভঙ্গুর আখ্যা দিয়ে এটি মেরামতের আহ্বান জানিয়েছেন ডেমোক্রেট মেয়র অস্কার লিজার।
২০২১ সালের জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ক্ষমতাআ গ্রহণের পর যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ অভিবাসীদের সীমান্ত ক্রসিং-এর সর্বকালের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌছিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় এরই মধ্যে সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
#BREAKING: The El Paso Airport has turned a portion of the facility into a holding center for illegal immigrants. Migrants are sleeping on the floor and throughout the airport. The city declared a state of emergency ahead of Title 42 expiring this week.https://t.co/07G2tcjXCV pic.twitter.com/GzJ1CExdZa
— Katie Daviscourt🇺🇸 (@KatieDaviscourt) December 19, 2022