রানীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন
ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানী দ্বিতীয় এলিজাবেথের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন। সেখান থেকে তার কফিন নিয়ে যাওয়া হচ্ছে লন্ডনের ওয়েলিংটন আর্চে। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবি থেকে অন্ত্যোষ্টিক্রিয়ার যাত্রা পার্লামেন্ট স্কয়ার হয়ে ছুটে চলেছে।
সেখানে রানীকে গার্ড অব অনার জানিয়েছে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও রাজকীয় বিমান বাহিনীর সম্মিলিত সদস্যরা। সেখান থেকে উত্তরে পার্লামেন্ট স্ট্রিট ধরে এগিয়ে যাচ্ছে, যা পরে হয়েছে হোয়াইট হল। রানী প্রতি বছর ‘রিমেমব্রেন্স সানডে’র প্রার্থনা করতে যেতেন। স্থানীয় সময় দুপুর একটায় পৌঁছার কথা ওয়েলিংটন আর্চে।
এ সময় পথে পথে শোকার্ত সামরিক এবং পুলিশ সদস্যরা লাখো জনতার সঙ্গে লাইনে দাঁড়িয়ে শ্রদ্ধা জানাবেন। শেষকৃত্যানুষ্ঠানের আনুষ্ঠানিকতায় উপস্থিত হন রানীর বড় ছেলে ও রাজা তৃতীয় চার্লস, কুইন কনসোর্ট ক্যামিলা, প্রিন্সেস অ্যান, প্রিন্স উইলিয়াম, প্রিন্স হ্যারি ও রাজপরিবারের সব সদস্য। উপস্থিত হন আমন্ত্রিতরা।
দীর্ঘ সময় ধরে চলে প্রার্থনা সভা। এ সময় রানীর জীবন, তার কৃতকর্ম, মানুষের প্রতি তার ভালবাসা, কমনওয়েলথের জনগণের জন্য তার অবদান একে একে তুলে ধরেন ধর্মীয় নেতারা। শবদেহ বহনকারী ‘বিয়ারার পার্টি’ রানীর মৃতদেহ ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবি থেকে বের করে নেন।
‘স্টেট গান ক্যারিজ’ থেকে তারা রানীর মৃতদেহ তুলে তা সার্ভিস বা প্রার্থনা অনুষ্ঠান ও বাকি আনুষ্ঠানিকতার জন্য বহনের জন্য দায়বদ্ধ। ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবিতে রানীর কফিন রাখা হয় কেন্দ্রীয় বেদীতে। তারপর শুরু হয় আনুষ্ঠানিকতা।
রানীর কফিন ত্রয়োদশ শতাব্দীর চার্চে পৌঁছার সঙ্গে সঙ্গে দু’হাজার অতিথিমণ্ডলী দাঁড়িয়ে যান। সমস্বরে এ সময় সবাই গাইতে থাকেন ‘আই অ্যাম দ্য রিসারেকশন অ্যান্ড দ্য লাইফ’। গাওয়া হয় ধর্মগ্রন্থের প্রথম ৫ লাইন, যা সেন্টেন্সেস নামে পরিচিত। অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে প্রতিটি রাষ্ট্রীয় শেষকৃত্যানুষ্ঠানে তা গাওয়া হয়।