সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারালেন ম্যাক্রোঁ
ফ্রান্সের সংসদীয় নির্বাচনে জিততে পারলো না দেশটির প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর জোট। সবচেয়ে বেশি আসন পেলেও পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখতে পারেনি তারা।
এনসেম্বল নামের ম্যাক্রোঁর মধ্যপন্থী জোটটি আগে থেকে ক্ষমতায় আছে। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য তাদের প্রয়োজন ছিল ২৮৯ আসন। কিন্তু ম্যাক্রোঁর জোট পেয়েছে ২৪৫টি আসন।
অন্যদিকে জ্যঁ লুক মেলাঞ্চের নেতৃত্বে জোট বেঁধেছেন সমাজবাদী, বামপন্থী ও গ্রিন পার্টি। নুপেস নামের জোটটি ১৩১ আসনে জিতেছে।
কট্টর দক্ষিণপন্থী ল্য পেন ছিলেন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মাক্রোঁর মূল প্রতিদ্বন্দ্বী। তার নেতৃত্বাধীন ন্যাশনাল রেলি পার্টি ৮৯টি আসনে জিতেছে। আগের পার্লামেন্টে পেনের দল পেয়েছিল আটটি আসন। ফলে আসনপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে তারা বিপুল সাফল্য পেয়েছে এবং তৃতীয় স্থানে আছে।
এই নির্বাচনী ফলাফল পরিস্থিতিকে জটিল করে দিয়েছে। ঝুলন্ত সংসদ হয়েছে, কেউই চূড়ান্ত সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাননি। ফলে রাজনৈতিক দিক থেকে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। এখন দল ও জোটগুলো ক্ষমতা ভাগাভাগি করতে পারে। সাবেক ফরাসি প্রেসিডেন্ট মিতেরঁর আমলে ১৯৮৮ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত এমনই হয়েছিল।
দ্বিতীয় বিকল্প হলো, রাজনৈতিক অচলাবস্থা এবং আবার নির্বাচন।
গত এপ্রিলেই ম্যাক্রোঁ দ্বিতীয়বারের জন্য ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট হয়েছিলেন। কিন্তু কয়েক মাস পরেই সংসদ নির্বাচনে সেই মাক্রোঁই নিজের জোটকে জেতাতে পারলেন না।
রক্ষণশীল এলআর ৬১টি আসন পেয়েছে। তারাই কিং-মেকারের ভূমিকা নিতে পারে।
সংসদে তার জোট ক্ষমতায় না এলে মাক্রোঁ তার সংস্কার কর্মসূচি রূপায়ণ করতে পারবেন না। অবসরের বয়স বাড়াতে পারবেন না। ফলে অনেক ক্ষেত্রেই তাকে বাধার মুখে পড়তে হবে।
ম্যাক্রোঁর মন্ত্রীরা বলেছেন, এই ফলাফল হতাশাজনক। তারা প্রথম স্থানে আছেন ঠিকই কিন্তু ফলাফল তাদের প্রত্যাশামতো হয়নি।