সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করলো ইরান
ইরানের সাবেক উপ-প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলিরেজা আকবরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। বৃটেনের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে তার মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়েছিল। দণ্ড কার্যকর ঠেকাতে বৃটেনের তরফ থেকে ব্যাপক প্রচেষ্টা চালানো হয়। তবে শেষ পর্যন্ত মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের সিদ্ধান্তে অটল ছিল তেহরান। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়, গত বুধবার তার পরিবারের সদস্যদের সর্বশেষ সাক্ষাতের জন্য কারাগারে যেতে বলা হয়। ২০১৯ সালে গ্রেপ্তার হন আকবরী। তাকে বৃটেনের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির দায়ে অভিযুক্ত করা হয়। যদিও এই অভিযোগ প্রথম থেকেই অস্বীকার করে আসছেন তিনি। বৃটেন তার মৃত্যুদণ্ড বাতিল এবং মুক্তির দাবি জানিয়ে আসছিল। শুক্রবার বৃটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভার্লি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইরানকে অবশ্যই বৃটিশ-ইরানি নাগরিক আলিরেজা আকবরীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর বন্ধ করতে হবে এবং অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে। এটি একটি রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত রায়।
ইরানের বিচার বিভাগের অফিসিয়াল নিউজ ওয়েবসাইট মিজান জানিয়েছে, আলিরেজা আকবরীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে ঠিক কবে সেটি কার্যকর হয়েছে তার দিন জানানো হয়নি। ১৯৯৭ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ইরানের প্রেসিডেন্ট ছিলেন মোহাম্মদ খাতামি। তার অধীনেই উপ-প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন আকবরী। মোহাম্মদ খাতামি নিজে অত্যন্ত সংস্কারপন্থী মানুষ ছিলেন।
আকবরী এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আদালতে আপিল করেছিলেন। কিন্তু মামলাটি পর্যালোচনা করার পর ইরানের সুপ্রিম কোর্ট মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখে। ইরানের গোয়েন্দা মন্ত্রণালয় নিশ্চিত করেছে যে, আকবরী বৃটিশ গোয়েন্দা সংস্থা এমআই-৬ এর একজন আন্ডারকভার এজেন্ট ছিলেন। তিনি বৃটেনের কাছে ইরানের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় তথ্য সরবরাহ করেছিলেন।
ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান দীর্ঘদিন ধরেই বিশ্বের শীর্ষ মৃত্যুদণ্ড দেয়া দেশের মধ্যে স্থান করে নিয়েছে। দেশটিতে ২০২১ সালে ৩১৪ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে, যা আগের বছরের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি। গত সপ্তাহে ইরান নিরাপত্তা কর্মীদের হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত দুই বিক্ষোভকারীকে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করেছে। যার ফলে আন্তর্জাতিক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।