সাবেক প্রধানমন্ত্রী হত্যার দুদিন পর জাপানে নির্বাচন
সদ্য সাবেক প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবেকে হত্যা করার দুইদিন পরই (রবিবার) জাপানের সংসদের উচ্চকক্ষের (সিনেট) ২৬ তম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। নির্বাচনের পর উচ্চকক্ষে ক্ষমতাসীন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি তথা এলডিপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা আরও বাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই দলটিতে দীর্ঘদিন ধরে শিনজ়ো আবের প্রভাব বজায় ছিল।
নির্বাচনী প্রক্রিয়া সম্পর্কে চায়না রেডিও ইন্টারন্যাশনাল (সিআরআই) এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়ঃ মোট ৫৪৫ জন প্রার্থী ১২৫ টি আসনে পুনঃনির্বাচনের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। রবিবার সারাদেশে ৪৬ হাজার ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। সন্ধ্যায় ভোট গণনা করা হবে এবং পরদিন (সোমবার) সকালে চূড়ান্ত গণনার ফলাফল ঘোষণা করা হবে। জাপানে সিনেট নির্বাচন প্রতি তিন বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় এবং প্রতিবার অর্ধেক আসনে পুননির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
জাপানের সংসদের উচ্চকক্ষের আসনগুলোর গুরুত্ব নিম্নকক্ষের আসনগুলোর তুলনায় অনেক কম। তবে, এই নির্বাচনকে বর্তমান সরকারের ব্যাপারে গণভোট হিসেবে ধরা হয়। যার মানে, এই ভোটের ফল বলে দেয়, নির্বাচিত সরকারের প্রতি দেশের জনগণের আস্থা বজায় আছে কি নেই। শিনজো আবে হত্যার শোকের আবহে এলডিপি এবং তাদের ছোট জোটসঙ্গী দল কোমেইতো ‘সহানুভূতি ভোটে’ বিরাট জয়লাভ করতে পারে বলে অনেকেই ধারণা করছেন।
নির্বাচন নিয়ে গঠিত এনএইচকে’র বিশেষজ্ঞ ডেস্কও ধারণা করছে যে জাপানের ক্ষমতাসীন জোট নির্বাচনের পর তাদের গতিশীলতা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় আসনের চেয়ে বেশি আসন নিশ্চিত করছে এবং সংসদের উচ্চ কক্ষে তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা বজায় রাখছে। ধারণা করা হচ্ছে যে, প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এবং কোমেইতো অর্ধেকেরও বেশি আসন জিততে যাচ্ছে।
জাপান টাইমস বলছে, বড় জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে তিন বছরের জন্য আর নির্বাচনে যেতে হবে না।
যার ফলে তিনি তার নীতিগুলো মুক্তভাবে বাস্তবায়ন করতে পারবেন।