সুদানে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা আধা সামরিক গোষ্ঠীর
সুদানের আধা সামরিক গোষ্ঠী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) ঘোষণা দিয়েছে, তারা রাজধানী খার্তুমে সেনাবাহিনীর সঙ্গে লড়াই অব্যাহত রাখলেও শিগগিরই যুদ্ধবিরতি পালন শুরু করবে। আরএসএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, তারা ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি দেবে, যেটি শুক্রবার সকাল ৬টায় কার্যকর হবে। যেদিন থেকে মুসলিমদের জন্য ঈদুল ফিতরের ছুটি শুরু হচ্ছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘যেহেতু পবিত্র ঈদুল ফিতর যুদ্ধ চলাকালীন পড়ে যায়, তাই নাগরিকদের অন্যত্র সরিয়ে নিতে এবং পরিবারকে ঈদের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য মানবিক করিডর উন্মুক্ত করা হবে।’
সুদানের সামরিক বাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সৌদি আরব, কাতার, তুরস্ক, দক্ষিণ সুদান এবং ইথিওপিয়ার সরকারও টেলিফোনে সুদানের সেনাপ্রধানকে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন।
শুক্রবার ভোররাতে সুদানের খার্তুম ভারী গোলাবর্ষণে কেঁপে উঠেছিল। আরএসএফ রাজধানীতে হামলার জন্য সেনাবাহিনীকে অভিযুক্ত করেছিল। এদিকে শহরের উত্তরে আলজাজিরার একজন সংবাদদাতা আধাসামরিক বাহিনীর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার কয়েক মিনিট আগে আরএসএফ এবং সেনাবাহিনীর মধ্যে গুলি বিনিময়ের কথা জানিয়েছেন। যুদ্ধবিরতি পালন করবে কি না সে বিষয়ে সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
এর আগে সুদানে দুইবার যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়েছে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, কিন্তু দুইবারই ব্যর্থ হয়। সুদানের সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল বুরহান জানান, ‘তিনি আরএসএফ কমান্ডারদের সঙ্গে সংলাপে আগ্রহী নন।’
জাতিসংঘের বিবৃতিতে বলা হয়, সংঘাত ও সহিংসতার কবল থেকে বাঁচতে গত ছয় দিনে সুদান ছেড়ে প্রতিবেশী দেশ শাদে আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ২০ হাজার মানুষ। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিংকেনও সেনাবাহিনী ও আরএসএফের কমান্ডারদের যুদ্ধবিরতি ঘোষণার আহ্বান জানিয়ে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে বলেন, ‘সুদানে চলমান এই গৃহযুদ্ধে সাধারণ বেসামরিক লোকজন, ত্রাণকর্মী, দূতাবাসকর্মী ও দেশটিতে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের নিরাপত্তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র খুবই উদ্বিগ্ন।’
সূত্র : আলজাজিরা