৩৩তম নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা ২৪ -২৭ মে
নিউ ইয়র্ক প্রতিনিধি: নিউ ইয়র্ক আন্তর্জাতিক বাংলা বইমেলা ২৪ -২৭ মে জ্যামাইকা পারফর্মিং আর্ট সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে। বইমেলার শ্লোগান হবে ‘যত বই তত প্রাণ’। মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূরুন নবীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত নির্বাহী কমিটির এক সাম্প্রতিক সভায় চারদিন ব্যাপী এই বইমেলার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ইতিপূর্বে বইমেলার আহ্বায়ক হিসাবে লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌসকে সর্বসম্মতভাবে মনোনীত করা হয়। প্রবাসের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন মুক্তধারার আয়োজনে গত তিন দশকের বেশি ধরে অনুষ্ঠিত নিউ ইয়র্ক বাংলা বইমেলা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের বাইরে সর্ববৃহৎ বাংলা বইমেলা ও বাংলা ভাষা ও সাহিত্য সম্মেলন হিসাবে ইতোমধ্যেই সর্বত্র আদৃত হয়েছে।
মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা এবং প্রধান নির্বাহী বিশ্বজিত সাহা বলেন , বিগত ঐতিহ্য অনুসরণ করে ৩৩তম আসরেও বাংলা ভাষার সেরা লেখক এবং উভয় বাংলার জনপ্রিয় প্রকাশকবৃন্দ অংশগ্রহণ করবেন। নিউ ইয়র্ক ও যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরের সাহিত্য সংগঠনকেও তাদের প্রকাশিত নতুন গ্রন্থ প্রদর্শনীর জন্য আমন্ত্রণ জানানো হবে। সারা বিশ্বের অন্তত ৪০টি প্রকাশনা সংস্থা অংশগ্রহণ করবে আশা করছি। উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৩২তম বইমেলায় প্রায় ৩০টির মতো প্রকাশক ও সংগঠন অংশগ্রহণ করে।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুসারে, ৩৩তম মেলাতেও বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে ‘জি এফ বি/মুক্তধারা সাহিত্য পুরষ্কার’ দেওয়া হবে। এই পুরষ্কারের মূল্যমান তিন হাজার মার্কিন ডলার। ইতিপূর্বে যারা এই পুরষ্কার পেয়েছেন তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নির্মলেন্দু গুণ, আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ, দিলারা হাশেম, শামসুজ্জামান খান ও আসাদ চৌধুরী। মেলায় অংশগ্রহণকারী সেরা প্রকাশককে ‘চিত্তরঞ্জন সাহা প্রকাশক পুরষ্কার’ প্রদানের ব্যাপারেও সভায় সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এই পুরষ্কারের মূল্যমান পাচশ’ মার্কিন ডলার। ২০২৩ সালের বইমেলায় এই পুরষ্কার পেয়েছিলে ঢাকার কথাপ্রকাশ ও নালন্দা প্রকাশনী যৌথভাবে।
নিউইয়র্কে ৩৩ তম বাংলা বই মেলার আহ্বায়ক লেখক ও সাংবাদিক হাসান ফেরদৌস বলেন, পরবর্তী বইমেলা সুচারুভাবে আয়োজনের জন্য একটি প্রস্তুতি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বইমেলার অর্থায়নে সহায়তা করার লক্ষ্যে প্রবাসের গুণীজনকে ‘সম্মানিত সদস্য’ হিসাবে যুক্ত করারও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।