Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
June 13, 2025
হেডলাইন
Homeপ্রধান সংবাদ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধে প্রতি মিনিটে ১৬ লাখ ডলার

৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধে প্রতি মিনিটে ১৬ লাখ ডলার

৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধে প্রতি মিনিটে ১৬ লাখ ডলার

ভারত-পাকিস্তানের ৮৭ ঘণ্টা চলা সংঘাত শুধু যুদ্ধক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ ছিল না-কাঁপিয়ে দিয়েছে অর্থনীতি, বিনিয়োগ, আকাশপথও। প্রতি ঘণ্টায় গুনতে হয়েছে এক বিলিয়ন ডলার!

মিনিটের হিসাবে ১.৬৬ মিলিয়ন (সাড়ে ১৬ লাখের বেশি)। রোববার এক প্রতিবেদনে সেই চুলচেরা বিশ্লেষণ করেছে পাকিস্তানের দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিটে ভারতীয় বিমানবাহিনী ‘অপারেশন সিঁদুর’ নামের একটি সামরিক অভিযান শুরু করে, যা ২৩ মিনিট স্থায়ী ছিল। এতে পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নয়টি বেসামরিক স্থাপনাকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়।

মূল হামলায় ব্যবহৃত হয় ফ্রান্সের তৈরি রাফাল যুদ্ধবিমান, যা দূরপাল্লার ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র ও নির্ভুল গ্লাইড বোমা দ্বারা সজ্জিত ছিল, যেগুলোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল প্রায় ৫৫০ কিলোমিটার।

৭ থেকে ১০ মে ভারত পাকিস্তানের আকাশ প্রতিরক্ষা কাঠামো পর্যালোচনার জন্য কিছু স্বচালিত অস্ত্র ব্যবহারের মাধ্যমে রাডার এবং ভ‚মি থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করে। এতে ব্যবহৃত হয় ভারত ও ইসরাইলের যৌথভাবে তৈরি ড্রোন ও অন্যান্য আকাশযান, যা লক্ষ্যবস্তু শনাক্তকরণ ও প্রতিরক্ষাব্যবস্থার দুর্বলতা খুঁজে বের করার জন্য পরিচালিত হয়।

জবাবে পাকিস্তান তার বিমানবাহিনী, স্থলবাহিনী ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউনিট নিয়ে সর্বাত্মক প্রতিক্রিয়া জানায়।

পাকিস্তান বিমানবাহিনী তাদের প্রধান বহুমুখী যুদ্ধবিমান হিসাবে চীনের তৈরি জে-১০সি নামের বিমান ব্যবহার করে, যা দূরপাল্লার আকাশে আকাশ ক্ষেপণাস্ত্র ও উন্নত বৈদ্যুতিক প্রতিরোধব্যবস্থা দ্বারা সজ্জিত ছিল।

৭ মে রাত ১টা ৫ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিটের মধ্যে পাকিস্তান বিমানবাহিনী তিনটি ফরাসি রাফাল যুদ্ধবিমান ভ‚পাতিত করতে সক্ষম হয়, যা এ ধরনের বিমানের প্রথম যুদ্ধক্ষেত্রে পতনের ঘটনা। পাকিস্তান জানায়, তারা মোট ১২টি ভারতীয় ড্রোন ধ্বংস করেছে, যার মধ্যে ছিল বৈদ্যুতিক প্রতিরোধ, বিমানবিধ্বংসী কামান ও স্বল্পপাল্লার ভূমি থেকে ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্রের সম্মিলিত ব্যবহার।

এই ৮৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিটের সংঘাতে ভারতের প্রধান শেয়ারবাজার সূচক নিফটি ও সেনসেক্স একত্রে প্রায় ৮২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূলধন হারায়।

উত্তর ভারতের আকাশপথ বন্ধ থাকার কারণে প্রতিদিন প্রায় ৮০ লাখ ডলারের বাণিজ্যিক বিমান চলাচলের ক্ষতি হয়। জনপ্রিয় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট স্থগিত হওয়ায় সম্প্রচার, টিকিট বিক্রি ও বিজ্ঞাপন থেকে প্রায় ৫ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়।

সামরিক খাতে প্রায় ১০ কোটি ডলার ও যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ফলে প্রায় ৪০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। পণ্য পরিবহণ ও বাণিজ্যিক লেনদেনে বিঘ্ন ঘটায় প্রায় ২০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে। সবমিলিয়ে ভারতের ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় আনুমানিক ৮ হাজার ৩০০ কোটি ডলার।

অন্যদিকে পাকিস্তানের শেয়ারবাজারের প্রধান সূচক প্রায় ৪ দশমিক ১ শতাংশ কমে গিয়ে ২৫০ কোটি ডলারের মূলধন হারিয়েছে। পাকিস্তানের ক্রিকেট লিগ স্থগিত হওয়ায় সম্প্রচার ও বিজ্ঞাপন থেকে প্রায় ১ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়। আকাশপথ বন্ধে বাণিজ্যিক বিমান চলাচলে প্রায় ২ কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছে।

প্রতিদিনের সামরিক ব্যয় ছিল প্রায় ২ কোটি ৫০ লাখ ডলার। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র পরিচালনার জন্য আনুমানিক ৩০ কোটি ডলার ব্যয় হয়েছে। বিদেশি বিনিয়োগের আস্থা কিছুটা কমে গেলেও তা পরিমাপযোগ্য নয়। মোট ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে আনুমানিক ৪০০ কোটি ডলার।

এই ৮৭ ঘণ্টার যুদ্ধ শুধু আকাশে হয়নি, তা শেয়ারবাজারে ধস, মুদ্রার মান পতন, ব্যবসা-বাণিজ্যের বিঘ্ন, বিমান চলাচলে স্থবিরতা এবং বিদেশি বিনিয়োগকারীদের আস্থাহীনতার রূপে দেশের ভেতর ছড়িয়ে পড়েছে।

প্রতি ঘণ্টায় প্রায় এক বিলিয়ন ডলারের ক্ষতি হয়েছে। আধুনিক যুদ্ধের প্রকৃত মূল্য কেবল ক্ষেপণাস্ত্র ও যুদ্ধবিমানেই সীমাবদ্ধ নয়, তা প্রতিফলিত হয় অর্থনীতি, বিনিয়োগ, জীবনযাত্রা ও বৈশ্বিক আস্থা হ্রাসে।

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment