অধিকারের অপব্যবহার স্বাধীনতাকে খর্ব করে: রাষ্ট্রপতি
স্বাধীনতা মানুষের অধিকার বলে মন্তব্য করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। তিনি বলেন, ‘এ অধিকারের সঠিক ব্যবহার করতে হবে। অধিকারের অপব্যবহার স্বাধীনতাকে খর্ব করে।’
শুক্রবার (২৬ মার্চ) জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি এসব কথা বলেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সবার নিজ নিজ জায়গা স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’
আবদুল হামিদ বলেন, ‘প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশ ও জণগণের উন্নয়ন কারও একার দায়িত্ব নয়। এটা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘অনেক ত্যাগের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা মহান স্বাধীনতা অর্জন করেছি। সবার নিজ নিজ জায়গা স্বাধীনতা রক্ষা করতে হবে। সততা ও নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রতিটি কাজে দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিতে হবে। দেশ ও জনগণের উন্নয়ন কারও একার দায়িত্ব নয়। এটা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
বঙ্গবন্ধু শুধু বঙ্গের বন্ধু হয়ে থাকেননি বলে মন্তব্য করে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘তিনি হয়ে উঠেছিলেন বিশ্বের বন্ধু। নির্যাতিত, নিপীড়িত মানুষের আশা-ভরসার প্রতীক। বঙ্গবন্ধুকে জানা ও বোঝার জন্য জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন একটি প্রশংসনীয় উদ্যোগ। তবে, এ উদযাপনকে শুধু আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে আগামী প্রজন্ম যেন বঙ্গবন্ধুর নীতি ও আদর্শ সঠিকভাবে জানতে পারে, সেদিকে গুরুত্ব দিতে হবে। বিদেশেও বিভিন্ন ভাষায় বঙ্গবন্ধুকে সঠিকভাবে তুলে ধরতে হবে।’
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ ও ভারতের অবদানের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নির্দেশে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ ও সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ অর্জন। মুক্তিযুদ্ধের দীর্ঘ নয় মাস ভারতে অবস্থানকালে অস্থায়ী ক্যাম্প স্থাপন ও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছে দেশটি। আমি প্রতিটি ক্ষেত্রে দেখেছি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারত কিভাবে আমাদের সাহায্য সহযোগিতা করেছে। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের ১ কোটি লোক ভারতে অবস্থান করেছে। ভারতে লোকজন তাদের আশ্রয় দিয়েছে, খাবার ব্যবস্থা করেছে। মুক্তিযোদ্ধাদের অশ্র দিয়েছে, প্রশিক্ষণ দিয়েছে। বহির্বিশ্বে আমাদের সমর্থন আদায়ে জোর তৎপরতা চালিয়েছে। মহানুভবতা ও মানবিকতায় এটি একটি নজিরবিহীন দৃষ্টান্ত। তাদের এ অবদান বাংলাদেশের জনগণ সবসময় কৃতজ্ঞতার সঙ্গে স্মরণ করে।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বঙ্গবন্ধুর কনিষ্ঠ কন্যা শেখ রেহানা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিসহ দেশ-বিদেশের আমন্ত্রিত অতিথিরা।❐