অনুবাদ গল্প: অপ্টিমিস্টকে জিজ্ঞেস কর
ফারজিনা মালেক স্নিগ্ধা
ক্লিভল্যান্ড, ওহাইও
প্রিয় উন্মাদিনী,
তুমি কিন্তু এখনও খোলা ছাদের গাড়িতে কাপড়ের টুপি পড়তে পারো! একটু বেশি টুপি লাগবে, এই যা! আমি কি বলি জানো? তুমি একগাদা কাপড়ের টুপি কিনো, গাড়িতে রাখ, আর তারপর গাড়ি চালানো শুরু করো। যদি একটা টুপি উড়ে যায়, তাহলে রেখে দেয়া টুপি থেকে আরেকটা নাও! এবং ভাবো তো, কি আনন্দটাই না হবে যখন গরিব মানুষগুলো গাড়ির পেছন পেছন দৌড়াবে তোমার ফেলে দেয়া উচ্ছিষ্ট টুপি গুলো নিতে! সুপার!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
সিয়াটল, ওয়াশ
প্রিয় মহাবিরক্ত,
তারপর দেখবে ম্যাজিকের মতোই তোমার ঘর লেবুমুক্ত হয়ে গেছে! তারপর তুমি বাইরে গিয়ে ঠান্ডা পানীয় খেয়ে সেটা উদযাপন করতে পারো! ও আচ্ছা, তোমার বেড়াল বাচ্চাটার জন্য একটা চোয়ালের ম্যাসাজ নিতে ভুলে যেও না কিন্তু!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
টোপেকা, ক্যান্স
প্রিয় ব্যাথিত কিন্তু …,
তোমার চিঠি পাওয়ার পর আমি একজন ব্যাক্তিগত তদন্তকারীকে ক্যামেরাসহ তোমার বাসায় পাঠিয়েছিলাম। এবং ভাব তো কি হয়েছে! তুমি কি ইদানিং আয়নায় নিজেকে দেখেছ? তোমার পা দুটো আসলেই বামনাকৃতির, তোমার মুখটা ব্যাঙের মতো এবং সত্যিই সত্যিই তোমার একটা চটকালো মুখ আছে! সুতরাং….একদম চিন্তা কোরো না! তোমার বৌ সত্যিই একজন ভালো আঁকিয়ে!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
প্যাসাদেনা, ক্যালিফ
প্রিয় পশু,
আমি কি বলি জানো, চিড়িয়াখানায় যাওয়া বন্ধ করে দাও! কিন্তু তারপরও যদি একান্তই চলেই যাও, তাহলে বিষয়টাকে এভাবে ভাবতে পারো: এই সবগুলা পশু; গা ভর্তি হয়ে আছে নিজেদের মলমূত্রে, আশেপাশের শুষ্ক ঘাসহীন পরিখার মধ্যে ঘুরাঘুরি করছে, অন্যান্য খাদক প্রাণীগুলো ওদের যে কোনও সময় খেতে পারে এবং হয়ত এতদিনে মরেই যেত যদি বনে থাকত! সুতরাং তুমি নিজেই ভাবো: আমার কি মরে যাওয়া ঠিক হবে, নাকি গা ভর্তি মল নিয়ে থাকা ঠিক হবে অথবা শুষ্ক ঘাসহীন পরিখায় ক্রমাগত বিচরণ করা ঠিক হবে? আমি ঠিক জানি এর উত্তর আমি দিব!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
কয়েকবছর আগে আমি অসাবধানতাবশত একটা ভুল দেশে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলাম। এছাড়াও, সম্ভবত একবার আমি খুব ধীরগতিতে একটি ভয়ানক প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সাড়া দিয়েছিলাম। আমার যে বন্ধুরা এসব অভিযোগে অভিযুক্ত নয়, আমার ধারণা তারা আমাকে ছেড়ে চলে যাচ্ছে। উপরুন্তু, আমি যে সংস্থাটির দায়িত্বে আছি, হঠাৎ করেই তা অনেক ঋণে ডুবে যাচ্ছে। এখানে এখনও আমার চাকরির আরও দুই বছর বাকি আছে। কোনও পরামর্শ?
ওয়াসিংটন ডি সি
প্রিয় কিছু একটা যুক্ত,
ঠিক এইভাবেই থেকো! কিচ্ছু স্বীকার কোরো না! তোমার শত্রুদের অবজ্ঞা কর! আরেকটা যুদ্ধ ঘোষণা করতে পারো কিন্তু? অথবা অন্য কোনও বুদ্ধি আসছে নাকি মাথায়? মনে হচ্ছে আরেকটু বেশি আশাবাদী হতেই পারতে! কি আর এমন দাম দিতে হতো এর জন্য? তোমার সহকারীকে বলো আমার সহকারীর সাথে যোগাযোগ করতে!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
ব্রাইটন, মিচ্
তুমি কেন এর ভালো দিকটা দেখছো না? অন্তত সে তোমার চাইতে বেশি উপস্থাপিত বা প্রকাশিত নয়-
প্রিয় অপটিমিস্ট,
ওহ, হ্যা, সে আমার চাইতেও বেশি উপস্থাপন যোগ্য। আমি এটা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম।
প্রিয় ছোট পুরুষাঙ্গ,
কোনও ব্যাপার না! আমি তোমাকে পুরোপুরি বিশ্বাস করি! তোমার স্ত্রী নিশ্চিতভাবেই তোমার জন্য ঠিক মানুষ নন এবং এটা মেনে নেয়ার মাধ্যমে-
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আসলে, রাল্ফ পাঁচটা ভাষায় কথা বলতে পারে এবং কিছুদিন হলো সামাজিক দায়বদ্ধতার ওপর একটা প্রাচীন সংস্কৃত লেখা অনুবাদ করেছে। আর আমি খুব ভালো করেই জানি জুডি আমার জন্যই মানানসই একজন নারী। আমি কখনই অন্য কাউকে ভালোবাসতে পারব না। আমি তারচেয়ে বরং মরেই যাব।
প্রিয় ছোট পুরুষাঙ্গ,
ওহ্! আমি বুঝতে পারছি কেন তোমার বৌ তোমাকে ফেলে চলে গেছে! তুমি তো খুবই নেতিবাচক! এবং খানিকটা একগুঁয়ে!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আমি সেটা জানি, বুঝতে পারছ? জুডিও সবসময় এই কথাটাই বলত। ওহ্! এইভাবে বেঁচে থাকার কি মানে আছে? আমি এখন মরার জন্য তাড়াতাড়ি কাজ করে এমন কিছু ওষুধ খাব … এবং … এবং …
প্রিয় ছোট পুরুষাঙ্গ,
তুমি না আসলে ‘ইতিবাচকতা’ বিষয়টা বুঝতেই পারছ না! ‘ইতিবাচকতা’র মূল বিষয়টা কি বল তো? সে নেতিবাচক না! আর নেতিবাচকতার অপরিহার্য গুণ কী বল দেখি? সে খুব বেশী চিন্তা করে, তারপর খুব হতাশাগ্রস্ত এবং অসাড় হয়ে যায়! অনেকটা তোমার মতো, ছোট পুরুষাঙ্গ! আমি, যতটা পারি কম ভাবতে পছন্দ করি এবং ফুর্তিতে থাকি! উত্তেজিত এবং সক্রিয়! যদি কোনও একটা বিষয় আমাকে বিরক্ত করে তাহলে আমি অন্য বিষয় নিয়ে ভাবি! যদি কেউ আমাকে খারাপ কোনও খবর দেয়? আমি তা উপেক্ষা করি! যেমন আমি একজন আশাবাদী মানুষকে চিনি, যাকে কিনা একটা হাঙ্গর খেয়ে ফেলেছিল। তখন সে কোনও চিৎকার চেঁচামেচি করেছিল না, শুধু জোরে জোরে বলছিল, ‘সবকিছুর পেছনেই মঙ্গল নিহিত আছে!’ ভেবে দেখ, কি পরিমাণ একজন আশাবাদী মানুষ! যদিও শেষ অব্দি সে মারা গেছে কিন্তু সে অন্য কাউকে নৈরাশ্যবাদী করে নি ! মানুষটা কি মহান ছিল! আমি সত্যিই তাকে অনেক মিস করি! না না, আমি মিস করি না আসলে! সবকিছুর পিছনেই নিশ্চই মঙ্গল নিহিত আছে! আমি টডকে একদম মিস করি না, যদিও আমরা অল্পসময়ের জন্য হলেও ভালোবাসতাম একে অপরকে এবং আমার কখনই এতটা ছন্নছাড়া লাগে নি; তুমি নিশ্চই বুঝতে পারছ আমি কি বলছি ! সুতরাং নিজেকে মূল্যায়ন কর! এটা এমন কোনও বড় বিষয় না! আমি নিশ্চয়ই এর জন্য এখন সব ফেলে নিস্তব্ধ হয়ে বসে থাকব না? তাই না বলো ছোটলিঙ্গ? তাই না? হ্যালো! ওহ্! বুঝেছি! সে নিশ্চয়ই এখন অন্য কোথাও ঘ্যানঘ্যান করতে গেছে! পরের চিঠি দেখি!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
আফ্রিকা
প্রিয় আশাবাদী,
অনেক ধন্যবাদ আমাকে লেখার জন্য! সান্ত্বনার কথা এই যে, তুমি আসলে খুবই সংখ্যালঘু একটা গোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত! পৃথিবীর সবার সাথে তুলনা করলে, তোমার মতো অল্পকিছু মানুষ আছে! বাদবাকি বেশিভাগ মানুষেরাই ক্ষুধার্ত না বা এমন বিপদের মধ্যেও নেই। সত্যি কথা বলতে কি, তারা হয়ত জানেও না যে তুমি এতো বিপদের মধ্যে আছ। আর তারা এখানে অনেক ভালো আছে, জীবনকে উপভোগ করছে, সব ধরণের আনন্দ তাদের আছে! এই তথ্য কি কোনভাবে তোমাকে সাহায্য করছে? আমি আশা করি করছে! আর মনে রেখ- দুঃখ সারাজীবন থাকে না! আমি আশা করি শীঘ্রই তোমার দুঃখ কেটে যাবে!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
ফোর্ট মেয়ার্স, ফ্লা
প্রিয় পার্কপ্রেমী,
ওহ, সত্যি ! ব্রোঞ্জ মোড়ানো হাত? তাহলে এই চিঠি তুমি কিভাবে লিখলে?
প্রিয় অপটিমিস্ট,
তাহলে তুমি ওই হাত দিয়ে চিবুক চুলকাচ্ছ না কেন?
প্রিয় অপটিমিস্ট,
উহ, কেননা আমি ওই হাত দিয়ে আমার কলম ধরে আছি। আর আমি যদি কলমটা ফেলে দেই, তাহলে আমি তো সেটা আর ওঠাতে পারব না কারণ আমার শরীরও তো ব্রোঞ্জ দিয়ে মোড়ানো। তখন যদি কবুতরগুলো কলম নিয়ে চলে যায়? যাই হোক, আমার একটা আইডিয়া আছে। কেন তুমি আমাকে আত্মহত্যা করতে বলছো না? দ্রুত কাজ করে এমন কিছু ওষুধ খেয়ে, যখন তুমি আমাকে প্রথমেই বলছ ‘নেতিবাচক’ আর ‘একগুঁয়ে?’
প্রিয় পার্কপ্রেমী,
আচ্ছা এটা কি তুমি, ছোটলিঙ্গ? আমি ধারণা করছিলাম যে হাতের লেখাটা মিল ছিল! তুমি কি তখন হাতের লেখা নকল করছিলা যখন ওষুধ খাওয়ার কথা বলছিলা? আর, তুমি সত্যি সত্যি ব্রোঞ্জ দিয়ে আবৃত না, তাই না?
প্রিয় অপটিমিস্ট,
ঠিক ধরেছো, তুমি বুদ্ধিমান, আমি মারা যাই নি। আমি ব্রোঞ্জ আবৃতও না আর আমি হালও ছেড়ে দিচ্ছি না। সত্যি কথা বলতে কি আমাকে আরও অপেক্ষা করতে হবে এবং জুডিকে ফোনে ধরতে হবে। যদি সে আমার কথা ফোনে শোনে, তাহলে আমি ধরে নিবো সে …
প্রিয় অপটিমিস্ট,
আলবানীর কাছে একটি ফার্ম
প্রিয় বড় টার্কি,
অবশ্যই আমি তোমাকে সাহায্য করতে পারি! তুমি আমার বাসায় চলে আসো ব্যাক্তিগত কাউন্সিলিং এর জন্য! বড়দিনের সময়টাতে কি তুমি ফ্রি আছ? তুমি আমার জন্য ওয়েটিং স্পটে অপেক্ষা করো, একটা গাছের গুড়ি আর কুড়াল আছে ওখানে! আর তুমি কি এমন একটা মানুষ কে চিনো যে একটা শুয়োরের শরীরে আটকে আছে? আমি তাকেও কাউন্সেলিং করতে পারি! ততদিন পর্যন্ত, তোমার জন্য আমার উপদেশ হলো যত পারো খেয়ে নাও, সবচেয়ে ভালো হয় যদি কিছু ভালো মানের ভুট্টা খেতে পারো! আর তোমার চিবুক উঁচু করে রাখো অথবা মাথার ঝুঁটি অথবা যা ইচ্ছা তা করো!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
প্লিমাউথ, মাস
প্রিয় অপেক্ষারত,
তুমি কি কিছু ‘কঠিন প্রেমের কথা ভাবছ? মানে, তোমার সময়ে কি এমন কিছু আসলে ছিল? তুমি কি সত্যিই তোমার এই পরিস্থিতি থেকে উঠে আসার কোনও চেষ্টা করেছ? মানে ধরো, তুমি গত কি ষাট সত্তর বছরে কখনও কফিনের ঢাকনা খোলার চেষ্টা করেছ? এবং, যদিও তখন তোমার মুখ ভর্তি থাকবে মাটি আর তুমি হয়ত ভয়ঙ্করভাবে অবরোধ আতঙ্কে থাকবে, তারপরেও তুমি কি মাটি খুঁড়ে উপরে উঠে আসার চেষ্টা করেছ? নাকি সেখানে এমন মনমরা হয়ে কেবল শুয়েই আছো-
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
তুমি আমাকে ভুল বুঝছ। আমি নড়তে পারি না। আমার আত্মা এখনও সচল, আমি ভয় পাই, কষ্ট পাই আর স্বপ্ন দেখি কিন্তু আমি একদম নড়তে পারি না। আমি ভাবছিলাম যখন আমি বলেছি যে আমি মৃত তখন তুমি বুঝবে আমি যা বোঝাতে চাইছি –
প্রিয় অপেক্ষারত,
আমাকে দোষ দিয়ে কোনও লাভ নেই! আমি এমন একটা বেকুব না যার জীবন নারকোলেপসির মতো একটা রোগের কারণে ঘুমে ঘুমে কাটছে! আমি তোমার ঘুমকে তোমার মৃত্যু ভেবে ভুলও করি নি! এমন কি ওই অষ্টাদশ নাকি কোন্ শতাব্দী ওই সময় আমি তো জন্মাই নি! তুমি বরং ওখানে শুয়েই থাক আর ভাবো সত্যিই তুমি কি চাও?
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
দোজখ
প্রিয় শয়তান,
এটা খুব পরিষ্কার যে তুমি খুব একা! আমি বলি কি শোন: প্লিমাউথ, ম্যাসাচুসেটস এ ‘শান্তির মৃত্যুর জন্য অপেক্ষায় থাকা একজনের কবরের কাছে যাও। সে খুব একা! তুমিও খুব একা! এটা সত্যিকারেই একটা উইন উইন বিষয় হবে! তার কফিনের পাশে তুমি তোমার আস্তানা গড়। আমার ধারণা সে এটা পছন্দ করবে! অথবা হয়ত করবে না! হয়ত শয়তানের হঠাৎ আগমনে সে ভয় পাবে! ওহ্, আমি নিশ্চিত নই! সে যাই হোক! যা হবে, ভালোই হবে!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
শিকাগো, ইল
প্রিয় উৎফুল্ল,
সুপার! তোমার কি কোনও প্রশ্ন ছিল!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
না, আসলে ছিল না!
প্রিয় উৎফুল্ল,
তাহলে এখানে কি! এই কলামের নাম কি হবে? এর নাম কি হবে যে ‘অপ্টিমিস্ট এর প্রতি কিছু কথা?’ নাকি ‘এখানে আসুন আর মি. পারফেক্টের মতো আচরণ করুন?’ তাই কি –
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
উৎফুল্ল
প্রিয় উৎফুল্ল,
ধ্যাৎ, কি বিতক্তিকর! আচ্ছা, এই এতটুকু জায়গাই এর জন্য বরাদ্দ ছিল, তাই –
প্রিয় অপটিমিস্ট,
ছোট পুরুষাঙ্গ
প্রিয় ছোট পুরুষাঙ্গ,
আমাদের এই প্রসঙ্গে কথা বলা শেষ! আজকের কলাম এখানেই শেষ! আমি কি তোমার কাজ নষ্ট করতে তোমার ওখানে যাই?!
প্রিয় অপটিমিস্ট,
ছোটলিঙ্গ
প্রিয় যে কেউ,
দয়া করে পুলিশকে ডাকুন! আমি জানি এটা ঠিক হয়ে যাবে! ওহ! ঈশ্বর, সে চলে এসেছে! সে দরজা ভেঙে ফেলেছে! দয়া করে পুলিশকে ডাকুন! হেল্প! হেল্প!
প্রিয় অপ্টিমিস্ট,
কেমন লাগছে এখন? মি. সুপিরিয়র, কেমন লাগে বলো তো?
আউচ…আউচ…. ওহ, ঈশ্বর!
প্রিয় সবাই,
এ.কে.এ. স্টিভ
প্রিয় ছোটলিঙ্গ, এ.কে.এ. স্টিভ,
বাঁচতে পেরে উৎফুল্ল একজন, যে কিনা কখনই এতো ভালো বোধ করে নি, এ.কে.এ. নতুন অপটিমিস্ট
প্রিয় রাল্ফ, তুমি একটা জারজ সন্তান!
স্টিভ
প্রিয় স্টিভ,
বাঁচতে পেরে উৎফুল্ল একজন, যে কিনা কখনোই এতো ভালো বোধ করে নি, এ.কে.এ. নতুন অপটিমিস্ট
প্রিয় নতুন অপ্টিমিস্ট,
পুরোপুরি সুখী, প্রায় পুরোপুরি সুখী
প্রিয় প্রায় পুরোপুরি সুখী,
এটা নিয়ে ভেবো না! সব ঠিক আছে! আমি বলি কি, যখন তোমার নতুন স্বামী বাসায় আসবে, তখনই তাকে এমনভাবে ভালোবাসবে যেটা তুমি তোমার জীবনে আর কাউকে বাসো নি! এমন প্রেম তুমি তোমার স্বামীকে দেবে যেটা তুমি ওই বিরক্তিকর পরাজিত স্টিভকে দিতে ভাবতেও পারো নি কোনদিন!
প্রিয় নতুন অপ্টিমিস্ট,
বিঃ দ্রঃ আচ্ছা তুমি কিভাবে জানো যে আমার প্রাক্তন স্বামীর নাম স্টিভ?
প্রিয় সার্বিকভাবেই,
এত নেতিবাচক হয়ো না তো! জুডি, তুমি কোনও কিছুর শুরুতেই এই কারণেই বিপদে পড়ে যাও! তুমি আসলে একটু বেশিই ভাবো! একটু চুপ থাকো আর আমি যাই বলি তাই কর! আমার কথা শোন! ইতিবাচক হও! নতুন অপটিমিস্টিক দীর্ঘজীবী হোক! দরজা খোল জুডি, দরজাটা খোলো প্লিজ! যেন আমরা নতুন জীবন এক সাথে শুরু করতে পারি! আর বালিকা, আমার সাথে তর্ক করার কথা ভুলেও ভেবো না!
প্রিয় নতুন অপ্টিমিস্টিক,
পুরোপুরি সুখী, সার্বিকভাবেই, যদিও এখন একটু ভীত, এ.কে.এ. জুডি
প্রিয় জুডি,