অমিত শাহ্ কি গৃহবন্দী!
আম আদমী পার্টির (আপ) ধাক্কায় ধরাশয়ী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দুত্ববাদী বিজেপি। ‘মাফলার ম্যান’ থেকে টানা তিন বার দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল।
মহারাষ্ট্র, ঝাড়খণ্ডের পর দিল্লিতেও বিজেপির এমন ধারাবাহিক পতনে দলটির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে নিয়ে কথা উঠেছে। শনিবার রাত থেকেই অমিত শাহ ‘উধাও’ বলে খবর বেরিয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে বলা হয়, নির্বাচনী বিপর্যয়ের পর রাত ৩ টা পর্যন্ত বৈঠক করেছিলেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। অমিত শাহই সেই বৈঠক ডেকেছিলেন বলে জানা ছিল।
রোববার সকালে ঘুম চোখেই দিল্লি বিজেপি সভাপতি মনোজ তিওয়ারি বললেন, ‘না না, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে ছিলেন না।’
জানা যায়, শনিবার রাত থেকেই ‘উধাও’ অমিত শাহ। গত কাল সংসদেও আসেননি। যদিও দলীয় এক সংসদ সদস্যের ছেলের বিয়েতে অংশ নিয়েছিলেন। মঙ্গলবার ছিল সংসদের বাজেট অধিবেশনের প্রথম পর্বের শেষ দিন।
এদিন সংসদ সদস্য, হুইপের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এসেছিলেন। কিন্তু অমিত শাহর দেখা নেই।
অথচ দিল্লি নির্বাচনের দু’সপ্তাহ আগে তিনিই প্রচারের পুরো দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন। ঘুরে ঘুরে বলেছিলেন, শাহিন বাগে ‘কারেন্ট’ লাগাতে। ছোট-বড় মিলিয়ে দিল্লিতে ৫ হাজার সভার আয়োজন করেছেন। সব রাজ্য থেকে দলীয় সংসদ সদস্য, নেতাদের দিল্লিতে এনে পাঠিয়ে দেন অলিতে-গলিতে। তাতেও আটটির বেশি আসন পেলো না বিজেপি।
প্রধান সেনাপতি না থাকলেও বিজেপির সৈনিকেরা সংসদ চত্বরেই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছেন বিষয়টি নিয়ে। আলোচনায় উপস্থিত বিজেপির অধিকাংশ সংসদ সদস্যই মনে করেন, অমিতের কৌশলে ভুল ছিল না।
বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা বলছেন, আসন না পেলেও গত বিধানসভা থেকে ভোট শতাংশ বেড়েছে। অমিত না-নামলে এটাও হত না।
তবে দলের এক সংসদ সদস্যের কথায়, ‘মেরুকরণের সঙ্গে উন্নয়নের বিষয়েও জোর দিলে লাভ হত বেশি। কারণ, কেজরিওয়াল মেরুকরণে পা দেননি। ফলে লড়াইটা একতরফা হয়ে গিয়েছে।’
কংগ্রেসের নেতারা বলছেন, ‘অমিত শাহ ‘কারেন্ট’ লাগাতে চেয়েছিলেন, ‘শর্ট সার্কিট’ হয়ে গিয়েছে। ঝটকা খেয়ে এখন নিজেই গৃহবন্দি।
সূত্র: আনন্দবাজার পত্রিকা