অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ধর্ষণে ভুল বিচার
অস্ট্রেলিয়ার পার্লামেন্টে ধর্ষণের একটি বিচার ভুল বিচারের মাধ্যমে শেষ হয়েছে। উচ্চ পর্যায়ের ওই ধর্ষণ মামলা অস্ট্রেলিয়ায় উত্তেজনার আগুন ছড়িয়ে দিয়েছিল। ধর্ষিতার অভিযোগে পুরো দেশে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। ধর্ষিতা বলেছিলেন, তার সঙ্গে একজন ক্রিমিনালের সাথে মানুষ যে আচরণ করে, তেমনই আচরণ করা হয়েছিল। কিন্তু এ ঘটনার মামলা ভুল বিচারের মধ্যদিয়ে শেষ হয়েছে বলে খবর দিয়েছে অনলাইন টিআরটি। এতে বলা হয়, বিচারের আইন দ্বারা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ এমন একটি কপি একজন জুরি সদস্যের কাছে দেখতে পান কোর্টরুমের একজন শেরিফ। এর ফলে বৃহস্পতিবার একটি ভুল বিচার ঘোষণা করেন। ২৭ বছর বয়সী যুবতী ব্রিটানি হিগিন্স অভিযোগ করেন, সাবেক কনজারভেটিভ স্টাফার ব্রুস লেহরমান (২৭) তাকে পার্লামেন্ট ভবনের একপ্রান্তে ধর্ষণ করেছে। এ ঘটনা ঘটেছে ২০১৯ সালের মার্চে সরকারের একজন মন্ত্রীর অফিসে।
রাতের এই ঘটনার সময় তিনি ছিলেন মদ্যপ। এ নিয়ে অস্ট্রেলিয়াজুড়ে উত্তেজনা দেখা দেয়। সেই মামলার ভুল বিচার হয়েছে বৃহস্পতিবার। এমনটাই বলা হচ্ছে মিডিয়ায়।
আদালত এমন রায় দেয়ার পর বাইরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়েন হিগিন্স। বলেছেন, যতই অস্বস্তিকর বা অপ্রস্তুতের বিষয় হোক না কেন, আদালতে তিনি সত্য বলেছেন। যা ঘটেছে আমি তা বলেছি। অন্যদের সঙ্গে আমার অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছি। কিন্তু অভিযুক্ত ব্যক্তিকে আদালতে কখনোই একটি প্রশ্ন করা হয়নি। কিন্তু আমাকে আমার টেলিফোন, পাসওয়ার্ড, মেসেজ, ছবি এবং আমার ডাটা সমর্পণ করতে হয়েছে।
হিগিন্সের এমন বক্তব্য নিয়ে পুলিশে রিপোর্ট করেছেন লেহরম্যানের আইনজীবীরা। তারা মনে করছেন ফেব্রুয়ারিতে এ বিষয়ে আবার বিচারকাজ হতে পারে। তবে লেহরম্যান এখনো নিজেকে নির্দোষ দাবি করছেন। বলছেন, সম্মতি ছাড়া তিনি শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেননি।