‘আমি কই নোয়াখালী চালাই আমি’: একরামুল করিম
নোয়াখালীর-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, “গত ছয় দিন আমি ঢাকাতে ছিলাম। আমি নেত্রীকে কতগুলো ম্যাসেজ পাটিয়েছি উনি ম্যাসেজগুলো দেখেছেন। ঢাকায় যাওয়ার পর নেত্রীর সঙ্গে যিনি সব সময় থাকেন, তিনি আমাকে বললেন নেত্রী আপনাকে এতো ভালো জানেন, আপনি কেন ঢাকায় গুরতেছেন। আমি বলি যে আমাদের কমিটিটা দরকার। তিনি বললেন, নোয়াখালী চালায় কে। আমি কই নোয়াখালী চালাই আমি। নেত্রী কি আপনাকে না চালাতে বলছে। আমি বলি না। নেত্রী জানে যে আপনিই চালাবেন নোয়াখালী। আপনি যেয়ে নোয়াখালী চালাতে থাকেন।”
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় একরামুল করিম চৌধুরী এসব কথা বলেন।
আবদুল কাদের মির্জাকে ইঙ্গিত করে নোয়াখালীর-৪ আসনের সংসদ সদস্য বলেছেন, “সে প্রথমে আমাকে দিয়ে শুরু করছে। যাইতে যাইতে সে তার ভাবি এবং বড় ভাই ওয়ায়দুল কাদেরসহ বাংলাদেশের কোনো নেতাকে বাদ দেয় নাই। লাস্ট পর্যন্ত নেত্রীকে নিয়েও বলেছে। সে পাগলকে সামলাইতে যাইয়া কিছু কারণবশত কারো কারো সঙ্গে কারো টেলিফোনে কথা হইতেই পারে।”
একরামুল করিম চৌধুরী আরও বলেন, “বিএনপি ইউপি ভোটে আসবে না। যারা অর্থের বিনিময়ে নমিনেশনের আশা করতেছেন, এদিক-ওদিক যদি নৌকা চলেও যায় আমি কিন্তু বেঠিক লোককে, আমার জনগণকে আমি ভোট দিতে দেব না। যারা সঠিক লোক তাদের পক্ষে আমার অবস্থান থাকবে। একদম খারাপ লোক অর্থের বিনিময়ে নমিনেশন পাবে, তাকে ভোট দিবে এরকম কোন দরকার নেই। কারা মানুষের সঙ্গে দুর্বব্যহার করেছিল। এটা মানুষ ভুলে যায়নি। দুর্বব্যহারকারীদের ভোট দেক, এটা এমপি হিসেবে আমি হতে দিতে পারিনা। আমাদের দরকার জনগণের চেয়ারম্যান। আমাদের দরকার- যে জনগণের পাশে থেকে আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করতে পারবে তাকে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মিকে আপন করে নিতে পারবে তাকে।”
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ওমর ফারুক, চর আমান উল্যাহ ইউপি চেয়ারম্যান অধ্যাপক বেলায়েত হোসেন, চরক্লার্ক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল বাসার, সুবর্ণচর উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক আমিরুল ইসলাম রাজীব, উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক আবদুল্লাহ আল মামুন জাবেদ প্রমুখ।❐