ইউক্রেনে ‘যুদ্ধ’ চলবেই: রাশিয়া
চলতি বছরের গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এরপর আজ বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত টানা ২১৭ দিনের মতো চলছে দেশ দুইটির সংঘাত। এতে দুই পক্ষের বহু হতাহতের খবর পাওয়া যাচ্ছে। তবে যুদ্ধ বন্ধে এখন পর্যন্ত কোনো লক্ষণ নেই। উল্টো পূর্ব ইউক্রেনে দেশ দুইটির মধ্যে সংঘাত আরও জোরদার হয়েছে।
কয়েকদিনের মধ্যে ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভ দখলের মাধ্যমে সেখানে পুতুল সরকার বসানোর যে প্রয়াস নিয়ে পুতিন আগ্রাসন শুরু করেছিলেন তা এখন পর্যন্ত অধরাই। উল্টো ইউক্রেনে রুশ বাহিনী যে ধুঁকছে তা ক্রমেই স্পষ্ট হয়ে উঠছে। পশ্চিমাদের দাবি, ইউক্রেনে প্রবল জনবল সংকটে ভুগছে রুশ বাহিনী। এরই মধ্যে পুতিন দেশটিতে আংশিক সেনা সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছেন। এতে করে অন্তত তিন লাখ রিজার্ভ সেনা ইউক্রেন যুদ্ধ পাঠানো হবে বলে রাশিয়ার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এরই মধ্যে আজ বুধবার ক্রেমলিন জানিয়েছে, পূর্ব ইউক্রেনের দোনেতস্ক অঞ্চল পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ নিতে না পারা পর্যন্ত মস্কো তাদের বিশেষ অভিযান চালিয়ে যাবে। দেশটি ইউক্রেনে চালানো এই যুদ্ধকে এখন পর্যন্ত ‘বিশেষ অভিযান’ বলে উল্লেখ করে আসছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকোভ বলেন, দোনেতস্ক পিপলস রিপাবলিকসের (ডিপিআর) স্বাধীনতা অর্জন না হওয়া পর্যন্ত আক্রমণ ‘সর্বনিম্নভাবে’ চলতে থাকবে।
এদিকে ইতোমধ্যে লুহানস্ক, দোনেতস্ক, খেরসন ও ঝাপোরিঝিয়াতে গণভোট সম্পন্ন করেছে রুশপন্থী কর্তৃপক্ষ। গতকাল শেষ হওয়া গণভোটের ফলাফলে রাশিয়া এসব অঞ্চলে বিজয় দাবি করেছে।
এই গণভোটকে ‘জালিয়াতি’ আখ্যা দিয়ে প্রত্যাখ্যান করেছে ইউক্রেন এবং তার মিত্র দেশগুলো। যুদ্ধ-বিধ্বস্ত এসব অঞ্চলে প্রায় ৪০ লাখ মানুষকে ভোট দেবার আহবান জানানো হয়েছিল। এ চারটি অঞ্চল ইউক্রেনের মোট ভূমির প্রায় ১৫ শতাংশ।
এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রতিরক্ষা বাহিনী জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শুক্রবার রাশিয়ার পার্লামেন্টে-এর এক যৌথ অধিবেশনে এ চারটি অঞ্চলকে রাশিয়ার অংশ করে নেবার ঘোষণা দেবেন।