ইউক্রেন সীমান্তে সংঘাত নিরসনই নেটো-রাশিয়া আলোচনার মূল এজেন্ডা
রাশিয়া ও ইউক্রেন সীমান্তে উত্তেজনা কমানোর লক্ষ্যে, বুধবার ব্রাসেলসে এক বৈঠকে মিলিত হয় রাশিয়া ও নেটো।
সীমান্তে রাশিয়ার সৈন্য মোতায়েনের বিষয়ে আপত্তি জানিয়ে নেটো বলছে, এটা ইউরোপীয় নিরাপত্তাকে খর্ব করবে । অন্যদিকে, রাশিয়া এই নিরাপত্তা সম্পর্কিত নিশ্চয়তা চাইছে যেন ৩০-সদস্যের নেটো জোটের সম্প্রসারণ সীমিত করা হয়। তাদের যুক্তি ইউক্রেনকে এতে অন্তর্ভুক্ত করা হলে, সেটা তার দেশের সীমান্তে একটি হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াবে।
নেটোতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত জুলিয়ান স্মিথ বুধবারের আলোচনার আগে সাংবাদিকদের বলেন, কূটনৈতিক ভাবে অচলাবস্থা নিরসন সম্ভব কীনা নেটো সেটা দেখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের আলোচনার সামগ্রিক বিষয়বস্তু হবে “ঝুঁকি হ্রাস, স্বচ্ছতা, অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ এবং বিভিন্ন উপায়ে একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলা”।
স্মিথ ইউক্রেনের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের সংহতি প্রকাশ করে বলেন, “রাশিয়ান কর্মকাণ্ড এই সঙ্কটকে প্ররোচিত করেছে” তাই নেটো মিত্ররা রাশিয়ার আরও আগ্রাসন প্রতিরোধ করতে সর্বদা প্রস্তুত।
এর আগে, সোমবার জেনেভায়, যুক্তরাষ্ট্র এবং রাশিয়ান কূটনীতিকরা এক বৈঠকে মিলিত হলেও, বৈঠক শেষে উভয় পক্ষ থেকেই বড় ধরনের অগ্রগতির কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায়নি।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দ্যমিত্রি পেসকভ সাংবাদিকদের সাথে এক কনফারেন্স কলে বলেন, “এখন পর্যন্ত, আশাবাদের কোন উল্লেখযোগ্য কারণ আমরা দেখছি না”।
যুক্তরাষ্ট্রের আন্ডার সেক্রেটারি অফ স্টেট ফর পলিটিক্যাল অ্যাফেয়ার্স ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড মঙ্গলবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা রাশিয়ার পক্ষ থেকে উত্তেজনা কমানোর সামান্যতম ইঙ্গিতও দেখিনি”। ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তে এক লক্ষ সেনা মোতায়েন করে “রাশিয়াই পুরো এলাকা জুড়ে এই সংকট তৈরি করেছে”।
নুল্যান্ড বলেছেন, “নেটো রাশিয়ার জন্য কোন হুমকি নয়। এটি একটি প্রতিরক্ষামূলক জোট, যার একমাত্র উদ্দেশ্য তার সদস্যদের রক্ষা করা”।
২০১৪ সালে ক্রাইমিয়া উপদ্বীপ দখল করার পর, রাশিয়া এখন ইউক্রেন আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করছে পশ্চিমা মিত্ররা৷ তবে রাশিয়া তার এক সময়ের সোভিয়েত বলয়ের রাজ্যে আক্রমণ করার পরিকল্পনার কথা অস্বীকার করলেও, যুক্তরাষ্ট্রের দাবির পরও সীমান্ত থেকে সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেনি।