ইরানের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি ইইউ’র
মাহসা আমিনি ‘হত্যা’ ও ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভে সরকারের ব্যাপক দমনপীড়ন চালানোয় তেহরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা বিবেচনা করছে ইরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
ফরাসি সংবাদমাধ্যম ফ্রান্স২৪ এক প্রতিবেদনে জানায়, মঙ্গলবার ইইউ’র বৈদেশিক নীতি বিষয়ক প্রধান জোসেফ বোরেল একথা বলেন।
এর আগে হিজাব আইন লঙ্ঘনের দায়ে ইরানের নৈতিকতা পুলিশ ২২ বছর বয়সী কুর্দি নারী মাশা আমিনিকে আটক করে। পুলিশের হেফাজতে অজ্ঞান হয়ে তিন দিন কোমায় থাকার পর শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। এর পরপরই ইরানজুড়ে ছড়িয়ে পড়ে বিক্ষোভ।
এই ঘটনার উল্লেখ করে বোরেল ইউরোপীয় পার্লামেন্টকে বলেন, মাহসা আমিনির হত্যা ও বিক্ষোভ-সমাবেশে ইরানের নিরাপত্তা বাহিনীর ব্যাপক দমনপীড়নের বিরুদ্ধে আমাদের নিয়ন্ত্রণে থাকা সকল বিকল্পের কথা আমরা বিবেচনা করবো।
তিনি আরও বলেন, ‘কঠোর পদক্ষেপ’ বলতে তিনি নিষেধাজ্ঞা আরোপকে বুঝিয়েছেন।
ইরান সরকারের অবস্থানকে ‘অসামঞ্জস্য’ ও ‘অযৌক্তিক’ হিসেবে উল্লেখ করে দেশটিতে চলমান দমনপীড়নের সমালোচনা করেন।
বোরেল বলেন, আমিনির হত্যার প্রতিবাদে ইরান জুড়ে সাধারণ মানুষের, বিশেষ করে নারীদের বিক্ষোভ-সমাবেশ আমাদের প্রশংসার দাবি রাখে।
আমিনির মৃত্যুর ব্যাপারে তদন্ত এবং সরকারের জবাবদিহিতার কোন ইঙ্গিত দেখা যাচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
দেশটিতে এখন পর্যন্ত ১৩৩ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে নরওয়ে ভিত্তিক এনজিও ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর)।
আইএইচআর বলছে, সরকারি আইনশৃঙ্খলা-বাহিনীর হাতে বিক্ষোভকারীদের এভাবে নিহত হওয়ার ঘটনা মানবতাবিরোধী অপরাধের সমতুল্য।
দেশটির দক্ষিণপূর্বাঞ্চলীয় সিস্তান-বালুচিস্তান প্রদেশের জাহেদান শহরে গত এক সপ্তাহ ধরা চলা বিক্ষোভে এখন পর্যন্ত ৪১জন নিহত হয়েছে বলে দাবি মানবাধিকার সংস্থাটির। গ্রেপ্তারে হয়েছে শতাধিক ব্যক্তি। এমনকি বিক্ষোভে ইন্ধন দেয়ার দায়ে ৯ ইউরোপীয়কে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।