ইরানের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেবে ইইউ
ইরানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের জন্য শনিবার ইরান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ইরানি জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জার্মানি।
ইরানের বিরুদ্ধে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) আরও নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলে জানিয়েছেন জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎস। বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে রক্তক্ষয়ী দমন-পীড়নের জন্য শনিবার ইরান সরকারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেছেন, ইরানি জনগণের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়ে আছে জার্মানি।
জার্মান চ্যান্সেলর জানান, এই বিক্ষোভ বর্তমানে আর পোষাক কোডের বিরুদ্ধেই নয় বরং স্বাধীনতা এবং ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে পরিণত হয়েছে।
আগামি সোমবার, ১৪ নভেম্বর ইইউ’র পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি বৈঠকে অংশ নেওয়ার কথা। এই বৈঠকে ইউক্রেনে রাশিয়ান বাহিনীকে ড্রোন সরবরাহ করা এবং বিক্ষোভকারীদের সহিংস দমন-পীড়নের মাধ্যমে প্রতিরোধ করার জন্য ইরানের বিরুদ্ধে নতুন নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হবে কিনা তার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকের আগে ইরানের সমালোচনা করে বক্তব্য দিলেন ওলাফ শলৎস।
মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো ইরানের বিক্ষোভকারীদের প্রতি সমর্থন জানানোর জন্য পশ্চিমাদের কাছে আবেদন জানিয়ে আসছে। ইরানের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও অনুরোধ করছে তারা। এমনকি এসব দেশে ইরানের দূতাবাস বন্ধ করার পদক্ষেপও নিতে বলা হচ্ছে।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ইউরোপীয় কূটনীতিক বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, প্রায় ৩০ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হতে পারে। ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হবে। গত মাসেও ইইউ ইরানের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল। সেসময় ইরানও ইইউ’র বিরুদ্ধে পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দেয়।
উল্লেখ্য, ১৬ সেপ্টেম্বর ২২ বছর বয়সী কুর্দি তরুণী মাহসা আমিনি পুলিশ হেফাজতে মারা যাওয়ার পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে উঠে ইরান। ইরানের মানবাধিকার সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, এই বিক্ষোভে এ পর্যন্ত ৩২৬ জন মারা গেছেন। নিহতদের মধ্যে ৪৩ জন শিশু এবং ২৫ জন নারীও রয়েছেন।
সূত্র: ইউরো নিউজ