উত্তর কোরিয়া থেকে সমরাস্ত্র সংগ্রহ করছে মস্কো, অভিযোগ যুক্তরাষ্ট্রের
ইউক্রেনে সামরিক অভিযানের রসদ সরবরাহ বজায় রাখতে উত্তর কোরিয়া থেকে সামরিক সরঞ্জাম ক্রয় করছে রাশিয়া। সম্প্রতি এমন অভিযোগ তুলেছে যুক্তরাষ্ট্র। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা বিবিসির এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার ফলে নিজেদের সামরিক সরবরাহ স্থিমিত হয়ে আসায় উত্তর কোরিয়ার দিকে ঝুঁকেছে মস্কো।
নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, পিয়ংইয়ং থেকে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক আর্টিলারি শেল ও রকেট ক্রয় করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধ যত সময় গড়াবে ততই পিয়ংইয়ং থেকে আরও সামরিক সরঞ্জাম ক্রয়ে বাধ্য হবে রাশিয়া। এক মার্কিন কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এমনটা জানায় নিউইয়র্ক টাইমস।
তবে ঠিক কী পরিমাণ অস্ত্র সংগ্রহ করা হয়েছে তা গোয়েন্দা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়নি। এক মার্কিন কর্মকর্তা বলেন, পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কারণে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক বাহিনীর সদস্যরা বিপুল রসদ সংকটে ভুগছেন।
এর আগে, গত সপ্তাহে ইরান থেকে সামরিক ড্রোনের একটি চালান সংগ্রহ করেছে রাশিয়া। ইউক্রেন যুদ্ধে তুর্কি ড্রোনের সাফল্য পাওয়ার পর একই পথে হাঁটতে উৎসাহী হয়ে উঠেছে রাশিয়া। ফলে ইরানের কাছ থেকে সামরিক ড্রোন সংগ্রহ করে দেশটি।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযান শুরুর পর উত্তর কোরিয়া ও ইরানের সঙ্গে রাশিয়ার সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। রাশিয়ার পাশাপাশি দেশ দুটিও বেশ কয়েক বছর ধরে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার কবলে রয়েছে।
ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের কারণ হিসেবে পশ্চিমা শক্তিগুলোকে দোষারোপ করে আসছেন উত্তর কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কিম জং উন। তিনি এটিকে পশ্চিমা শক্তিগুলোর আধিপত্যবাদী আচরণের পাল্টা জবাব হিসেবে চিত্রায়িত করছেন। এর মাধ্যমে ইউক্রেনে রাশিয়ার সামরিক অভিযানের বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা করছেন এ স্বৈরাচারী নেতা।
গত মাসে, ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রাশিয়া ঘোষিত দুটি স্বাধীন দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে উত্তর কোরিয়া। ইউক্রেন অভিযানের পরপরই রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রণে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক প্রজাতন্ত্র নামে এ দুটি দেশের স্বাধীনতার স্বীকৃতি দেয় রাশিয়া। এ স্বীকৃতির মাধ্যমে মস্কোর আরও ঘনিষ্ঠ হতে চেষ্টা চালায় পিয়ংইয়ং।