উত্তর ভারতে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রহরায় মুসলমান কন্যার বিয়ে
উত্তর ভারতের একটি মুসলমান পরিবার জানিয়েছে, প্রতিবেশী সংখ্যাগরিষ্ঠ হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রহরায় তারা নিজেদের কন্যার বিয়ের অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছেন।
ধর্মভিত্তিক নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভে বলপ্রয়োগের ঘটনায় প্রাণঘাতী সহিংসতার পরদিন এমন ঘটনা ঘটেছে।-খবর রয়টার্স
ভারতের ২০ কোটি মুসলমানকে কোণঠাসা করতে নতুন এই আইনপ্রণয়ন করেছে হিন্দুত্ববাদী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিজেপি সরকার।
এতে ভারতজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হলে এখন পর্যন্ত পুলিশি নৃশংসতায় ২৭ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত ২০ ডিসেম্বর কানপুর শহরে দুই বিক্ষোভকারী নিহত হন।
রয়টার্সকে ওয়াজিদ ফজল বলেন, তার ভাগনি জিনাতের বিয়ে ঠিক করেছেন তারা। কিন্তু সহিংসতার দরুন অনুষ্ঠান পণ্ড হতে যাচ্ছিল। কাজেই বিয়ের প্রস্তুতি নিয়ে আমি উভয়সংকটে পড়ে গিয়েছিলাম।
কিন্তু হিন্দু প্রতিবেশীরা তাদের সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন। এই বিয়েতে যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তা নিশ্চিত করতে তারা অনুষ্ঠান পাহারা দেয়ার ঘোষণা দেন।
তিনি বলেন, রাতে ভাগনিকে বিয়ে দেয়ার আগ পর্যন্ত অন্তত ৪০ হিন্দু ভাই আমাদের বাড়িতে ছিলেন। এই আনুকূল্য কখনো ভুলবার নয় বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মুসলমানদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক হওয়ায় অনেকেই এই আইনের বিরোধিতা করছেন। গত ১১ ডিসেম্বর থেকে এই বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ২০১৪ সালে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়ে ক্ষমতায় আসার পর একের পর এক হিন্দুত্ববাদী এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে মোদি সরকার।
ক্ষমতাসীন ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) সদস্য অনুপ তিওয়ারিও এই বিয়ের অনুষ্ঠানে সহায়তা করেন। তিনি বলেন, বিজেপি কখনোই বৈষম্য করে না। জিনাত আমার মেয়ে। কাজেই নির্ধারিত তারিখে তার বিয়ের ব্যবস্থা করা আমার দায়িত্ব।