ঋণখেলাপি থেকে বাঁচতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির অধ্যাদেশ পাকিস্তানের
ঋণখেলাপি হওয়ার কবল থেকে বাঁচতে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রির জন্য অধ্যাদেশ জারি করেছে পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ডন এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
জানা গেছে, পাকিস্তানের মন্ত্রিসভা বৃহস্পতিবার আন্তঃসরকারি বাণিজ্যিক লেনদেন অধ্যাদেশ ২০২২ নামে একটি অধ্যাদেশ জারি করে। ওই অধ্যাদেশ প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের সরকারকে বিদেশি সংস্থা এবং সরকারের কাছে রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিক্রি করার অনুমতি দেবে।
এছাড়া আন্তঃসরকারি বাণিজ্যিক লেনদেন অধ্যাদেশ ২০২২-এর মাধ্যমে কেন্দ্র থেকে প্রাদেশিক সরকারগুলোকে জমি অধিগ্রহণের জন্য বাধ্যতামূলক নির্দেশ জারি করার ক্ষমতাও দেওয়া হয়েছে।
অবশ্য এই অদ্যাদেশে এখনো স্বাক্ষর করেননি পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি।
অধ্যাদেশে, পাকিস্তান সরকার আদালতকে অন্য রাষ্ট্রের সরকারি কোম্পানির সম্পদ ও শেয়ার বিক্রির বিরুদ্ধে কোনো আবেদন গ্রহণে বাধা দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার ফেডারেল মন্ত্রিসভা এই অধ্যাদেশের অনুমোদন দেয়।
চলতি বছরের মে মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত ইসলামাবাদের আগের ঋণ ফেরত দিতে অক্ষমতার কারণে নগদ আমানত দিতে অস্বীকার করেছিল।
অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল চলতি সপ্তাহে বলেছিলেন, একটি বেসরকারি লেনদেন সম্পূর্ণ করতে সাধারণত ৪৭১ দিন সময় লাগে। সরকারকে জরুরিভাবে তহবিল সংগ্রহের জন্য কয়েক দিনের মধ্যে বিদেশি দেশগুলোর সঙ্গে চুক্তি করতে হয়েছিল।
এদিকে, পাকিস্তান সরকার যখন সম্পদ বিক্রির জন্য পটভূমি তৈরি করছে, তখন সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান টুইটারে ‘আমদানি করা’ মার্কিন সরকারের নিন্দা জানিয়ে খুদে ব্লগিং সাইট টুইটারে বলেন, কীভাবে আমদানি করা সরকারকে মার্কিন ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় আনা যায়, যার নেতৃত্বে, অপরাধের মন্ত্রী যার সঙ্গে জারদারি পরিবার তাদের দুর্নীতির কেচ্ছা লিখিয়েছে, জাতীয় সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে বিশ্বস্ত হতে পারে এবং তাও সমস্ত পদ্ধতিগত ও আইনি পথকে পাশ কাটিয়ে।