এক মাসে আদানির সম্পদ কমেছে ১৫ লাখ কোটি টাকা
নিউ ইয়র্ক-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান হিনডেনবার্গের একটি গবেষণা রিপোর্ট প্রকাশ হয় গত ২৪ জানুয়ারি। ঐ রিপোর্টে ভারতের শীর্ষ ধনী গৌতম আদানির বিরুদ্ধে ‘করপোরেট জগতের ইতিহাসের সবচেয়ে বড় ধোঁকাবাজির’ অভিযোগ করা হয়। যেখানে বলা হয়, আদানি গ্রুপ হিসাবের খাতায় জালিয়াতি করে শেয়ার বাজারে ধোঁকাবাজি করেছে। এরপর থেকেই আদানি গ্রুপের সব কয়টি কোম্পানির শেয়ারের দাম কমতে শুরু করে। সেই ধারাবাহিকতায় গত এক মাসে আদানি গ্রুপ ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলার (১৫ লাখ ১৯ হাজার পাঁচশো কোটি টাকা) হারিয়েছে।
ঐ রিপোর্ট প্রকাশের আগে আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত ১০টি কোম্পানির মোট বাজার মূলধন ছিল ২৪ লাখ ৭৭ হাজার কোটি টাকা। বর্তমানে তা দাঁড়িয়েছে ১০ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকায়। আর আদানির নিজস্ব সম্পদের পরিমাণ এখন ৪ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের (৪ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা) নিচে। হিনডেনবার্গের রিপোর্ট প্রকাশিত হওয়ার আগে ভারতের গুজরাট রাজ্যের শিল্পপতি গৌতম আদানি ছিলেন বিশ্বের দ্বিতীয় শীর্ষ ধনী। এখন বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের মধ্যে তার অবস্থান ২৯তম। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়ার।
আদানি গ্রুপের তালিকাভুক্ত ১০ কোম্পানির মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে আদানি গ্রিন এনার্জির। কোম্পানিটির শেয়ারের দাম কমেছে প্রায় ৮৪ শতাংশ। এরপর বেশি দাম কমেছে আদানি ট্রান্সমিশন ও আদানি টোটাল গ্যাসের শেয়ারের। আদানি এন্টারপ্রাইজের শেয়ারের দাম কমেছে ৬০ শতাংশের বেশি।
আদানি গ্রুপ শুরুতেই হিনডেনবার্গের রিপোর্টকে ‘বিদ্বেষমূলক এবং ভুল তথ্যে ভরা’ বলে দাবি করে। এমনকি মার্কিন এই কোম্পানির বিরুদ্ধে তারা ভারত এবং যুক্তরাষ্ট্রে মামলা করার কথা বিবেচনা করছে বলে জানায়। শেয়ার বাজারের বিনিয়োগকারীদের মধ্যে আস্থা ফেরাতে গৌতম আদানি সবার টাকা ফেরত দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু তা কাজে আসেনি। শেয়ার বাজারে দরপতনে সংকুচিত হয়ে চলেছে আদানি সাম্রাজ্যও।