এখনও আতঙ্কে ঘুম ভেঙে যায়: সালমান রুশদি
ছুরি হামলার সেই ঘটনার পর ১১ মাস পার হয়েছে। কিন্তু এখনও অদ্ভুতুড়ে স্বপ্ন দেখে আতঙ্কে ঘুম ভেঙে যায় বুকারজয়ী লেখক সালমন রুশদির। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানিয়েছেন তিনি। বলেছেন, নিয়মিত মনস্তত্ত্ববিদের কাছে যেতে হচ্ছে তাকে। থেরাপিতে কিছুটা কাজ হচ্ছে। তবে আতঙ্ক এখনও তাড়া করে ফিরছে তাকে।
গত বছরের ১২ আগস্ট নিউইয়র্কের অদূরে একটি অনুষ্ঠান চলাকালীন রুশদির উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হাদি মাতার নামে এক যুবক। ছুরি দিয়ে রুশদিকে ১০ বারেরও বেশি আঘাত করেন তিনি। সে যাত্রায় প্রায় ছয় সপ্তাহ হাসপাতালে ছিলেন রুশদি।
হামলায় একটি চোখ ইতোমধ্যে হারিয়ে ফেলেছেন। এছাড়া স্নায়ুতে ভীষণ চোট পাওয়ার পর একটি হাতও প্রায় অকেজো। তবু শরীর কেমন আছে জিজ্ঞাসা করলে রুশদি বলেন, সেরে উঠেছি।
শারীরিকভাবে তা সত্যি হলেও মানসিকভাবে এখনো বিপর্যস্ত ৭৬ বছর বয়সী লেখক। নিজের মুখেই স্বীকার করলেন সে কথা। হালকা চালে বললেন, থেরাপিস্টের এখনো অনেক কাজ বাকি।
এর মধ্যেই শুরু হবে আততায়ী হাদি মাতারের শুনানি। ৩০ বছরেরও বেশি আগে ইরানের ধর্মগুরুর জারি করা ফতোয়া কার্যকর করতে তিনি রুশদির উপরে হামলা চালান বলে দাবি করেন।
আদালতে ওই যুবক আরও বলেছেন, তিনি নিজেকে নিরপরাধ মনে করেন। ফলে তার অপরাধ নির্ধারণ করে সাজা ঘোষণার আগে কিছু দিন ধরে বিচার প্রক্রিয়া চলবে। এ সময় আদালতে হাজিরা দিতে হবে রুশদিকে। যদিও আততায়ীর মুখোমুখি হল তার ট্রমা আরও বেড়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তিনি।