এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারে: প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেছেন, এপ্রিল মাসে বাংলাদেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ব্যাপকভাবে ছড়াতে পারে।
আজ মঙ্গলবার সকালে গণভবন থেকে চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলাগুলোর কর্মকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময়ে এ আশঙ্কার কথা জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এই ভাইরাসটির প্রসারিত হওয়ার বিষয়টি অঙ্কের মতো। এপ্রিলে আমাদের দেশে এর ধাক্কা ব্যাপকভাবে আসবে। এ রকমই আলামত পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের জন্য দুঃসময় আসছে। সব জায়গা থেকে এ ধরনের খরব পাচ্ছি। এ ধরনের কিছু প্রতিবেদনও আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই অবস্থায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কেউ একটু অসুস্থতার দেখতে পেলে চিকিৎসা করাবেন। কেউ লুকাবেন না। লুকাতে গেলে নিজেও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। অন্যদের ক্ষতি করবেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আজ উন্নয়নের রোল মডেল। উন্নয়নের গতি যখন অব্যাহত। মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে যখন কাজ করে যাচ্ছি ঠিক তখনই করোনা ভাইরাস। সারা বিশ্বে প্রলয় সৃষ্টি করেছে। এজন্য সব কিছু স্থবির। এর প্রভাবটা বাংলাদেশে এসে পড়েছে। এটা পড়াও খুব স্বাভাবিক। সারা বিশ্বের ২০২টি দেশ এর ভুক্তভোগী। প্রতিনিয়ত এটা বাড়ছে। আমরা শুরু থেকেই চেষ্টা করেছি এর প্রভাবে মানুষ যেন ক্ষতিগ্রস্থ না হয়। তবে এই ভাইরাসটির প্রসারিত হওয়ার বিষয়টি এটা অংকের মতো। অন্যান্য দেশের অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছি তাতে মতে হচ্ছে এপ্রিলে আমাদের দেশে এর ধাক্কা ব্যাপকভাবে আসার কথা। এ রকমই আলামত পাওয়া যাচ্ছে। এ ধরনের কিছু প্রতিবেদনও আমরা দেখতে পাচ্ছি। সেই অবস্থায় আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের এমনভাবে চলতে হবে যাতে আমাদের ক্ষতি কম হয়। এটা ঠিক যে একটা স্থবিরতা যেন এসে গেছে।
শেখ হাসিনা বলেন, অর্থনৈতিক ও সামাজিকভাবে। আমাদের অর্থনৈতিক যে প্রবৃদ্ধি আমরা সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিলাম তাও কিন্তু থেমে গেছে। এটা আমাদের দেশ নয় সারা বিশ্বব্যাপী। জানমাল রক্ষা করতে হবে। অর্থনীতি গতিশীল রাখতে হবে। উন্নত বিশ্ব এরা নিয়ন্ত্রণে হিমশিম খাচ্ছে। এটা আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। এরজন্য সবাইকে কাজ করতে হবে। সবাইকে কাজ করে যাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
দুই বিভাগের ১৫টি জেলার জনপ্রতিনিধি ও সরকারি কর্মকর্তারা এতে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আহমেদ কায়কাউস।◉