ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট ইউএসএ-এর সেমিনার আয়োজিত
“শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড” শিক্ষাই আলো, জ্ঞানই শক্তি” আজই এ উন্নত বিশ্বে মানব কল্যাণে যতকিছু সৃষ্টি হয়েছে অন্ধকার যুগ, প্রস্তর যুগ, বর্বরতার অন্ধকার থেকে মানুষ, মানুষের জন্য জনকল্যাণ মূলক বিজ্ঞানের আলোকে যে আধুনিক সভ্যতা সৃষ্টি হয়েছে তার পিছনে রয়েছে জ্ঞানময় জ্যোতিময় শক্তি। আমাদের একথা অকোপটে স্বীকার করতে বাধা নেই। তবে হ্যা এ বিজ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে অনেক অপশক্তির সৃষ্টি হয়েছে যেমন পারমানবিক যুদ্ধ তার জ্বলন্ত উদাহারণ। অন্যদিকে বিজ্ঞানের গভীরজ্ঞানে জ্ঞানবান হয়ে আজ মানব সভ্যতা গড়ে উঠেছে আজ মানুষ চাঁদের দেশে ঘরবাড়ী তৈরী করার স্বপ্ন দেখছে যার পিছনে রয়েছে বিজ্ঞানের অফুরন্ত জ্ঞান ভান্ডার।
সুতরাং আমরা জ্ঞানই শক্তির মাধ্যমে মহাবিশ্বকে জয় করতে পেরেছি এবং আমরা আগামী, আমরাই ভবিষ্যত”। উপরন্তু বক্তব্যে সকলে একমত হয়ে
নিউ ইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে আয়োজিত হয়ে গেল ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট ইউএসএ-এর সেমিনার।
গত শুক্রবার ১১ নভেম্বর জ্যাকসন হাইটসের জুইস সেন্টারে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভলপমেন্ট ইউএসএ এই সেমিনারের আয়োজন করে। এবারে সেমিনারের আলোচ্য বিষয় ছিল ‘জ্ঞানই শক্তি’। এতে প্রাইভেট টিউটোরিয়াল প্রতিষ্ঠান কালেকটিভ একাডেমির ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে স্বনামধন্য স্কুলের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন । তাদের মধ্যে যারা নিউইয়র্কের স্টাই ভেনসন, ব্রুকলিন টেক, ব্রঙ্কস সাইন্সের রেকর্ড পরিমাণের ফলাফলের মাধ্যমে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে সে সমস্ত মেধাবী ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে প্রবল প্রতিদ্বন্ধিতা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইট্স ডেভলপমেন্ট ইউএসএ-এর সভাপতি শাহ শহীদুল হক (সাঈদ), প্রধান অতিথি জেবিবিএর সভাপতি ও মূলধারার রাজনৈতিক জনাব গিয়াস আহমেদ, বিশেষ অতিথি ছিলেন ডিস্ট্রিক্ট লিডার অ্যাট লার্জ এর্টনি মঈন চৌধুরী, রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ী নুরুল আজিম ও ইউএনও অ্যাম্বেসেডর অ্যাসেম্বলি ওমেন জেনিফার রাজকুমারের পাবলিক অ্যাফেয়ার্স পরিচালক সীমা, মেয়র এরিক অ্যাডামের প্রতিনিধি ফেবয় এন্ডারসন, ব্যবসায়ী ও জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, স্মার্ট টেক-এর মালিক ও সিইও সরওয়ার আহমেদ, আমেরিকা বাংলাদেশ লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, কালেকটিভ একাডেমির পরিচালক শীরিন আকতার, ফিড বাংলাদেশের পরিচালক আব্দুল মুকিত চৌধুরী প্রমুখ।
সেমিনারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘জ্ঞানই শক্তি’র ওপর আলোকপাত করে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সভাপতি শাহ শহীদুল হক। সংগঠনের পক্ষ থেকে আরও বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আব্দুস সোবহান, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম জয়।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে গিয়াস আহমেদ বলেন, ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভলপমেন্টের কার্যক্রম বরাবরই প্রশংসার দাবীদার আজকের অনুষ্ঠান সত্যিই প্রশংসার দাবদীর। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে অ্যার্টনি মঈন চৌধুরী বলেন, ছাত্রছাত্রীরা ভবিষ্যৎ সাফল্য অর্জন করে দেশের কল্যাণে মূলধারার রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে জনকল্যাণ মূলক কাজ করবে- এমন প্রত্যাশা করি।
নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামের কম্যুনিটি বিষয়ক প্রতিনিধি বলেন বাংলাদেশী আমেরিকান কমিউনিটি খুবই শক্তিশালী, মেয়র আপনাদের পাশে আছে এবং থাকবে। জেনিফার রাজকুমারের প্রতিনিধি ইউএনও এ্যাম্বেসেডর সীমা কারেনটায়া বলেন, আমরা এ মহৎ উদ্দেশ্য ও ছাত্রছাত্রীদের অনুপ্রেরণামূলক এ ধরনের আলোচনা সভা পুরস্কার বিতরণী সেমিনারে উপস্থিত হতে পেরে নিজকে ধন্য মনে করছি। আমরা আপনাদের সঙ্গে আছি এবং থাকব।
এছাড়াও বক্তব্য রাখেন স্মার্ট টেক-এর সিইও কাউসার আহমেদ, জেবিবিএর সাধারণ সম্পাদক তারেক হাসান খান, কালেকটিভ একাডেমির পরিচালক শিরীন আকতার, বাংলাদেশ আমেরিকান লায়ন্স ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আহসান হাবিব, ফিড বাংলাদেশের কার্যনির্বাহী পরিচালক আব্দুল মুকিত চৌধুরী।
বিচারক মন্ডলীদের যাচাই বাছাইয়ের মাধ্যমে ১ম, ২য়, ৩য় স্থান অধিকারীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণ এবং অন্যান্য মেধাবী প্রায় ৫০ জন ছাত্র ছাত্রীদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড হিউম্যান রাইটস ডেভলপমেন্টের পক্ষ থেকে সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়।