ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন উপলক্ষে ওয়াশিংটন ডিসিতে শেখ রাসেল দিবস উদযাপন করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) বাংলাদেশ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তননে দিবসটি উদযাপন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে দূতাবাসের কর্মসূচির মধ্যে ছিল শহীদ শেখ রাসেলের জীবনী নিয়ে আলোচনা সভা, রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত বাণী পাঠ, শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা।
যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরান এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ শহীদ শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে তার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানান। এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর বাণী পাঠ করেন যথাক্রমে ডিফেন্স অ্যাটাচে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শাহেদুল ইসলাম এবং মিনিস্টার (প্রেস) এজেডএম সাজ্জাদ হোসেন। আলোচনায় অংশ নিয়ে রাষ্ট্রদূত ইমরান শহীদ শেখ রাসেলের অনন্য মানবিক গুণাবলী তুলে ধরেন যার স্বাক্ষর তিনি তার মাত্র ১০ বছরের জীবনে রেখেছিলেন।
তিনি বলেন, ছোট শেখ রাসেল অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে মানুষকে সাহায্য করতেন ও সাধারণ মানুষের জন্য তার হৃদয়ে ছিল অগাধ ভালোবাসা।
রাষ্ট্রদূত ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাযজ্ঞে নির্মমভাবে নিহত জাতির পিতা এবং তার পরিবারের অন্য সদস্যদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। তিনি নতুন প্রজন্মকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদেরকে জাতির সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে এবং একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় কাজ করার আহ্বান জানান। চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে রাষ্ট্রদূত কর্তৃক পুরস্কার বিতরণের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।
এর আগে শহীদ শেখ রাসেলের জীবনের ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন ও কেক কাটা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট রাতে শহীদ শেখ রাসেল ও অন্যান্য শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কনস্যুলার (পলিটিক্যাল-১) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান । অনুষ্ঠানে মিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়াও তাদের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।