কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শুরু
রাহুল গান্ধীর নেতৃত্বে গতকাল রবিবার মণিপুরের থৌবল জেলা থেকে শুরু হয়েছে কংগ্রেসের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। পূর্বনির্বারিত সময়ে শুরু হওয়া কংগ্রেসের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই পদযাত্রা মণিপুরের ইম্ফল থেকে শুরু করতে চেয়েছিল কংগ্রেস। কিন্তু মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী বীরেন সিংহের সরকার অনুমোদন না দেওয়ায় থুবাল থেকে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’র সূচনা করেন রাহুল গান্ধী। কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে পদযাত্রার উদ্বোধন করেন।
তারপর মঞ্চে ওঠেন রাহুল। গতবারের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র মতো ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’য় মানুষের কথা শুনতেই তিনি বেরিয়েছেন বলে জানান। রাহুল গান্ধী, খাড়গে ছাড়াও হেভিওয়েট কংগ্রেস নেতারা এই যাত্রায় অংশ নিয়েছেন। ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ১৫টি রাজ্যের ১০০টি লোকসভা আসনের মধ্য দিয়ে যাবে।
মণিপুর ছাড়াও চারটি উত্তর-পূর্ব রাজ্য নাগাল্যান্ড, অরুণাচল, মেঘালয় ও আসামে যাবেন কংগ্রেস নেতাকর্মীরা। এরপর পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, ঝাড়খণ্ড, ওড়িশা, ছত্তিশগড়, উত্তর প্রদেশ, মধ্য প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাট ও মহারাষ্ট্রে যাবে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’। মণিপুর থেকে শুরু হওয়া ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ মার্চের ২০-২১ তারিখে শেষ হবে মুম্বাইয়ে। তবে গতবারের ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’র মতো শুধু হেঁটে নয়, এবারের ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ ‘হাইব্রিড’ বলে জানিয়েছেন রাহুল।
শুধু হেঁটে নয়, ভারত ন্যায় যাত্রায় বাসও থাকবে। সামনে লোকসভা নির্বাচন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ‘ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রা’ শেষ করতেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এদিকে যাত্রা শুরুর আগেই অবশ্য কংগ্রেস এবং বিজেপির মধ্যে বাগযুদ্ধ শুরু হয়ে গেছে। প্রবীণ কংগ্রেস নেতা, সদ্যঃপ্রয়াত মুরলী দেওরার ছেলে মিলিন্দ দেওরা শিবসেনায় যোগ দেওয়ার পরেই কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে বিজেপি বলেছে, ‘আগে দলের নেতাদের সঙ্গে ন্যায়বিচার করুন রাহুল। তারপর ন্যায় যাত্রা করবেন।’
সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা