করোনাভাইরাস নিয়ে সিঙ্গাপুরের ভয়ঙ্কর তথ্য
চীন থেকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের কাছ থেকে খুব সহজেই অন্যের শরীরে ছড়িয়ে পড়ছে। আর এ কারণেই ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়েছে গবেষণায় জানিয়েছে সিঙ্গাপুরের ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইনফেকসিয়াস ডিজিস (এনসিআইডি) এবং ডিএসও ন্যাশনাল ল্যাবরেটরিজ।
বুধবার আমেরিকান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের জার্নাল প্রতিষ্ঠান দুটির এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার জন্য করোনাভাইরাসে আক্রান্ত তিনজন রোগীর ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তারা ২৪ জানুয়ারি থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কোয়ারেন্টাইনে ছিলেন। ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইনে থাকা অবস্থায় পাঁচ দিন তাদের বসবাসের ঘরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরমধ্যে পরিষ্কার করার পর দুজনের ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। আর তৃতীয়জনের ঘর থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয় নিয়মিত পরিষ্কারের আগে।
এতে দেখা গেছে, পরিষ্কার না করা ঘরটিতে দূষণের মাত্রা বেশি। পরিষ্কার করার আগে তৃতীয় রোগীর ঘরের ১৫ স্থানের মধ্যে ১৩ জায়গায় করোনাভাইরাসের নমুনা পাওয়া গেছে।
তৃতীয় রোগীর ব্যবহারের চেয়ার, বিছানা, জানালা, মেঝে, লাইটের সুইচ, টেবিল, গ্লাস এবং লকারে করোনাভাইরাসের জীবাণু পাওয়া গেছে। এমনকি তার ব্যবহারের টয়লেটেও পাঁচ জায়গার মধ্যে তিন জায়গায় ভাইরাসটি পাওয়া গেছে।
তবে অন্য দুইজনের ঘরে পরিষ্কারের পর ভাইরাসটির জীবাণু পাওয়া যায় নি। দিনে অন্তত দুইবার তাদের ঘর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করা হচ্ছিল।
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস থেকে বাঁচার ৫ উপায় জানিয়েছেন ইউনিসেফ। এই ৫ নির্দেশনা হলো-
১. হাঁচি, কাশির সময় টিস্যু পেপার ব্যবহার করুন।
২. সাবান বা অ্যালকোহল যুক্ত হাত ধোয়ার দ্রব্য দিয়ে ভালো করে ঘষে ঘষে হাত ধুয়ে ফেলুন।
৩. চোখ, মুখ, নাকে হাত দেয়া যাবে না।
৪. হাঁচি, কাশি হচ্ছে এমন লোকজন থেকে দূরে থাকতে হবে।
৫. সর্দি, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। ♦