করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত
যুক্তরাষ্ট্র, চীন, দক্ষিণ কোরিয়া, জাপান ও কানাডা- এই পাঁচ দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসার খবর দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। জাতিসংঘের এই সংস্থার আশঙ্কা- আরো কিছু দেশে এই ভ্যারিয়েন্ট এসে থাকতে পারে।
এমন আশঙ্কার কারণও জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডাব্লিউএইচও)-র মহাপরিচালক টেড্রস আদহানম গেব্রেসুস। জানান, অনেক দেশই এখন ডাব্লিউএইও-কেচ করোনা ভাইরাস সংক্রান্ত তথ্য দিচ্ছে না। এ কারণে সাম্প্রতিক সময়ে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার তথ্য কম পাওয়া যাচ্ছে। করোনা সংক্রান্ত জটিলতা যাদের শরীরে দেখা গেছে, তাদের মধ্যে মাত্র ১১% মানুষ আইসিইউতে চিকিৎসা নিতে বাধ্য হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক।
বেশির ভাগ দেশ করোনা সংক্রমণ সংক্রান্ত খবর না জানানোয় হতাশা প্রকাশ করে টেড্রস আদহানম গেব্রেসুস বলেন, এ কারণে আমরা এই মুহূর্তে কোভিড-১৯-এর কারণে মোট কতজন মারা গেছেন তা বলতে পারছি না।
বুধবারর ডাব্লিউএইচও জানায়, কোভিড-১৯-এর প্রকোপ অনেক কমে গেলেও করোনার বিদায়ের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। বরং ইতিমধ্যে চলে এসেছে নতুন ভ্যারিয়েন্ট। ডাব্লিউএইচও নতুন ইজি-৫ ভ্যারিয়েন্টের নাম দিয়েছে, ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’।
বিবৃতিতে ডাব্লিউএইচও জানায়, নতুন রূপে আসা এই করোনা যুক্তরাষ্ট্রের কিছু এলাকায় বেশ দ্রুত ছড়াচ্ছে। করোনা পরীক্ষা করা ১৭% মানুষের দেহে এই ভাইরাসের উপস্থিতি ধরা পড়েছে।
তবে বিবৃতিতে জানানো হয়, এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্যের আলোকে ধারণা করা যায়, ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ সারা বিশ্বে মহাতঙ্ক ছড়ানো কোভিড-১৯-এর মতো বিপজ্জনক নয়, জনস্বাস্থ্যে বড় ধরনের হুমকি হয়ে ওঠার আশঙ্কাও অনেক কম।
কম বিপজ্জনক হলেও ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’-কে অবশ্য খাটো করে দেখছে না যুক্তরাষ্ট্র। ইতিমধ্যে এর টিকা বাজারে নিয়ে আসার কাজ শুরু হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন (সিডিসি)-র পরিচালক ড. ম্যান্ডি কোহেন জানিয়েছেন, সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি বা শেষ দিকেই ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট-এর টিকা চলে আসতে পারে।