করোনা নিয়ন্ত্রণে ভারতের ৯টি সফল পদক্ষেপ
মহামারীর শুরুতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা রেকর্ড হারে বাড়লেও দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এনেছে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভারত। স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনেক রাজ্যেই করোনা পরিস্থিতির উন্নতির মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
ভারতের এই সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হওয়ার কারণ আছে অনেক দেশেরই। কিন্তু কিভাবে দেশটি এই সফলতা পেল তা নিয়ে বিস্ময়ের শেষ নেই। এন্ডকরোনাভাইরাস ওয়েবসাইটে মার্কিন বিশ্লেষক ইয়ানির বারইয়াম জানালেন নয়টি পদক্ষেপ ভারতের এই সফলতার পেছনের মূল কারণগুলো।
১. করোনা সংক্রমণ শুরু পর গত এপ্রিলে আক্রান্তের সংখ্যার ভিত্তিতে বিভিন্ন অঞ্চলকে রেড, ওরেঞ্জ ও গ্রিন জোনে ভাগ করে ভারত। পর্যায়ক্রমে আরোপ করা হয় লকডাউন আর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা। একইসঙ্গে সীমিত আকারে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে অর্থনীতিও সচল রাখে দেশটি।
২. বাইরে দেশ থেকে ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করাও ভারতেও অন্যতম সফল পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন ইয়ানির বারইয়াম। পাশাপাশি রাজ্যগুলোর সীমান্তে আলাদাভাবে যাতায়াত সীমিত রেখেও সংক্রমণ কমিয়ে আনে ভারত। এমনকি ২০২১ সালেও অনেক রাজ্যের সীমান্তে প্রবেশ নিয়ন্ত্রিত রেখেছে দেশটি।
৩. আক্রান্তদের দ্রুত আইসোলেশনের ব্যবস্থা করে বা সুস্থদের কাছ থেকে আলাদা রাখার মাধ্যমে করোনার ধকল কাটাতে সক্ষম হয় ভারতের রাজ্যগুলো।
৪. প্রায় এক বছরের জন্যে স্কুল-কলেজ বন্ধ রেখেও সংক্রমণ হার কমিয়ে আনে দেশটি।
৫. দেশের চাহিদা মিটিয়ে মাস্কের মতো করোনা মোকাবেলার বিভিন্ন জরুরী চিকিৎসা সরঞ্জাম বিদেশে রপ্তানি করে নজির গড়েছে ভারত।
৬. মাত্র একটি করোনা পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে যাত্রা শুরু করে ২৩০০ টি পিসিআর টেস্ট ল্যাব চালু করে ভারত। দ্রুত সময়ে আক্রান্তদের শনাক্ত করেও সংক্রমণ কমাতে চেষ্টা করেছে দেশটি। জনসাধারণের কোয়ারেন্টিন মানার ক্ষেত্রেও কড়াকড়ি আরোপ ছিল লক্ষণীয়।
৭. জনসচেতনতা তৈরিতে মোবাইলের কলার টিউন আর ম্যাসেজের মাধ্যমে জরুরি স্বাস্থ্যবিধি মানার জন্যে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে ভারত সরকার।
৮. গ্রামাঞ্চলের লোকজন করোনার সর্বোচ্চ ঝুঁকিতে থাকার কারণে বাইরের লোকের যাতায়াত বন্ধ রেখে সেসব এলাকায় সংক্রমণ ঠেকাতে সফল হয় বিভিন্ন রাজ্য।
৯. এছাড়াও বিশ্বের সবচেয়ে বেশি টিকা উৎপাদনকারী দেশ ভারত অল্প সময়ে টিকাদান কর্মসূচী চালু করেও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।❐