কিমের ক্ষেপণাস্ত্রে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক আহ্বান
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গেল জানুয়ারি মাসে সাতবার ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা চালিয়েছে কিম জং উনের দেশ উত্তর কোরিয়া। এর মধ্যে সবশেষে চালানো ক্ষেপণাস্ত্রটি ছিল মারাত্মক। কারণ এটি যেমন যুক্তরাষ্ট্রের ভূখণ্ডে আঘাত হানতে সক্ষম তেমনি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকেও ফাঁকি দিতে পারে।
এ কারণেই এই ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রশাসন। একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে জরুরি বৈঠক ডাকারও আহ্বান জানানো হয়েছে। এ নিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার, ৩ ফেব্রুয়ারি, নিরাপত্তা পরিষদে রুদ্ধদ্বার বৈঠকের আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন বার্তা সংস্থা এপি জাতিসংঘে যুক্তরাষ্ট্র মিশনের একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়, সবশেষ যে মধ্যম পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র উত্তর কোরিয়া নিক্ষেপ করেছে, তা নিশ্চিত করেছে পিয়ংইয়ং। এটি ছিল দেশটির পক্ষ থেকে জানুয়ারি মাসে সপ্তম ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণ।
উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা চালানো ক্ষেপণাস্ত্রের কিছু পরীক্ষা
অপরদিকে, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়ার সেনা সূত্রগুলো জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়ার পরীক্ষা চালানো শেষ ক্ষেপণাস্ত্রটি প্রায় ৮০০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করেছে। একই সঙ্গে সেটি ২ হাজার কিলোমিটার উচ্চতায় উঠতে সক্ষম। এ ছাড়া মার্কিন সামরিক সতর্কীকরণ কেন্দ্রের দাবি, উত্তর কোরিয়া জানুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে এমন একটি ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়া উপকূলে আঘাত হানতে সক্ষম।
এদিকে, মার্কিন প্রভাবশালী নিউজ চ্যানেল সিএনএন অন্তত দুটি সংশ্লিষ্ট মার্কিন সূত্রের বরাত দিয়ে দাবি করেছে, যেকোনো আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে সক্ষম উত্তর কোরিয়ার এই ক্ষেপণাস্ত্র।
উল্লেখ্য, এর আগে জানুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপকে গভীরভাবে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টকারী পদেক্ষপ হিসেবে দেখছে ওয়াশিংটন। দেশটির এসব পদক্ষেপের জন্য মূল্য দিতে হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।