খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে জাতিসংঘের সামনে বিক্ষোভ
গত ২ মার্চ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)র চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির লক্ষ্যে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশ করে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি।
এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সকল স্তরের নেতাকর্মী, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীরা ও সর্বস্তরের প্রবাসী বাংলাদেশী জনগণ।
এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশের পক্ষ থেকে জাতিসংঘের সম্মানিত সেক্রেটারি জেনারেল অ্যান্টোনিও গুতারেজের কাছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার দলের সকল নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং সকল রাজনৈতিক বন্দীদের মুক্তি নিশ্চিত করতে স্বারক লিপি দেওয়া হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি কাজী সাখাওয়াত হোসেন আজম ও পরিচালনা করেন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ।
উল্লেখিত এ প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ সমাবেশে নেতৃবৃন্দ জাতিসংঘসহ বিশ্ব নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশ নিয়ে প্রতিবেশী হিন্দুত্ববাদী রাষ্ট্র ভারতীয় শাসক গোষ্ঠী এক গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে এই দেশটির ফ্যাসিস্ট ও মুসলমান নিধন ও খুনী রাষ্ট্রপ্রধান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার লক্ষ্যে আমাদের দেশের স্থল, জল ও আকাশ পথের ওপর তাদের সার্বিক কর্তৃত্ব নিয়ন্ত্রন নিশ্চিত করেছে।
বক্তারা বলেন, আমাদের সেনাবাহিনী, আমাদের পুলিশ, আমাদের বিজিবি, আমাদের সিভিল প্রশাসনসহ সকল ক্ষেত্রে তারা তাদের আধিপত্য ও আগ্রাসনবাদী নীতি কার্যকর করার জন্য অসংখ্য দেশবিরোধী চুক্তিপত্র বাস্তবায়ন করেছে। এসব দেশবিরোধী এবং জাতীয় স্বার্থবিরোধী কর্মকান্ডে গত এক যুগেরও বেশী সময় ধরে কাজ করছে ভারতের লালিত পালিত ও আশ্রিত নিশীত রাতের ভোটার বিহীন অবৈধ সরকার এবং সরকার প্রধান খুনী শেখ হাসিনা ও তার দল আওয়ামী লীগ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ জাতীয়তবাদী দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান নতুন শ্লোগান দিয়েছেন ‘গেট ব্যাক বাংলাদেশ’- এই শ্লোগানের বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বিএনপি দেশব্যাপী শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন (বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনীতি আদর্শ) বাস্তবায়নই পারে স্বৈরশাসক এবং ভারতীয় দালাল আওয়ামী লীগ শাসক সরকারের পতন ঘটাতে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি সভাপতি আব্দুল লতিফ সম্রাট, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান জিল্লুু ,সাবেক আন্তজাতিক সম্পাদক ও সহসভাপতি গিয়াস আহমেদ, সিনিয়র সহ সভাপতি প্রফেসর দেলোয়ার হোসাইন, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী সদস্য রফিকুল ইসলাম দুলাল, যুগ্ম -সম্পাদক আনওয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক বাকির আজাদ, যুগ্ম সম্পাদক ফারুক চৌধুরী, মাহমুদ চৌধুরী, ইন্টার স্টেট বিএনপির সিনিয়র সহ সভাপতি সালেহ চৌধুরী, ইন্টার স্টেট বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক এম.এ. খালেক আকন্দ, যুবদল সভাপতি জাকির চৌধুরী, যুবদল সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ আহমেদ, শ্রমিক দল সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, শ্রমিক দল সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুল ইসলাম শাহীন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সাধারণ সম্পাদক সুরুজ্জামান, ফোরাম সভাপতি নাসিম আহমেদ, সাইদুর খান, খালেক আখন্দ, খুলকুর রহমান, আনোয়ার হোসাইন, শেখ হায়দার আলী, রেজাউল আজাদ ভূইয়াঁ, সাইফুর খান হারুন, কাওসার আহমেদ, ফারুক হোসাইন মজুমদার, জাফর তালুকদার, হুমায়ুন কবির, শামীম মাহমুদ, বি এম বাদশা, এবাদ চৌধুরী, হেলালুর রহমান, জামিলুর রহমান, তানভীর হাসান খান প্রিন্স, মোস্তাক আহমেদ, ওয়াহেদ আলী মন্ডল, হুমায়ুন কবির, আবদুর রহিম, মোস্তফা আহমেদ, মীর মশিউর রহমান, মোফাজ্জল ভ‚ইয়া, আবুল কালাম, রুহুল আমিন, মোহাম্মদ জহির, এমদাদুল ইসলাম, এয়াকুব আলী, আজিজুল ইসলাম, আবুল বাশার, উত্তম বণিক, কয়েস আহাদ, মীর সিরাজুল ইসলাম, রিংকু চৌধুরী, সরকার সালাউদ্দিন, ফরিদ খন্দকার, তামিম চৌধুরী, সৈয়দ গোসী হোসেন, জাবেদ উদ্দিন, মহিদুর রহমান মহিত, রিয়াজ মাহমুদ, মীর মিজান, দেওয়ান কাওসার, মজিবুর রহমান, হারুনুর রশিদ, মুরসালিন হোসাইন, আসলাম উদ্দিন, হোসাইন সোহেল, প্রফেসর ইকবাল চৌধুরীসহ আরও অনেক প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। ♦
প্রেস বিজ্ঞপ্তি