খুনি মাজেদের প্রাণভিক্ষার আবেদন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া আসামি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আবদুল মাজেদ রাষ্ট্রপতির কাছে প্রাণভিক্ষা চেয়েছেন।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় তিনি কারা কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এই প্রাণভিক্ষা চান। তার আবেদনটি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে যাবে।
অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল মো. আবরার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ‘আব্দুল মাজেদ আমাদের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর প্রাণভিক্ষার আবেদন করেছেন। আমরা সন্ধ্যায় এটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়ে দিয়েছি।’
রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন জানান, ‘আবেদনের খবর শুনেছি। তবে এখনও বঙ্গভবনে আসে নি। এলে বলতে পারব।’
আজ বুধবার দুপুরে ঢাকার জেলা ও দায়রা জজ হেলাল চৌধুরী তার মৃত্যুপরোয়ানা জারি করেন।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনি বরখাস্ত হওয়া ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়া এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।
জাতির জনককে সপরিবারে নির্মমভাবে খুনের অন্যতম কুশীলব বরখাস্ত হওয়া এই ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। দুই যুগ পালিয়ে থাকার পর অবশেষে ধরা পড়ে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ড পাওয়া এই আসামিকে বুধবার হাজির করা হলে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক হেলাল চৌধুরী পরোয়ানা জারি করেন।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক ৬ আসামির মধ্যে আবদুল মাজেদকে ৬ এপ্রিল সোমবার মধ্যরাতে রাজধানীর মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বর এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট।
পরে তাকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে গতকাল মঙ্গলবার সিএমএম আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে পাঠানো হয়।
২০১০ সালের ২৮ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পাঁচ খুনির ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তারা হলেন- লে. কর্নেল সৈয়দ ফারুক রহমান, লে. কর্নেল সুলতান শাহরিয়ার রশিদ খান, মেজর বজলুল হুদা, লে. কর্নেল মহিউদ্দিন আহম্মেদ (আর্টিলারি) ও লে. কর্নেল একেএম মহিউদ্দিন আহম্মেদ (ল্যান্সার)।
এখনও ১২ জনের মধ্যে ৫ জন বিদেশে পালিয়ে রয়েছেন। পলাতকরা হলেন- কর্নেল খন্দকার আবদুর রশিদ, লে. কর্নেল শরিফুল হক ডালিম, লে. কর্নেল এএম রাশেদ চৌধুরী, রিসালদার মোসলেম উদ্দিন, লে. কর্নেল এসএইচ নূর চৌধুরী।◉