গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন
গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। গাজীপুর মহানগরী (সিটি কর্পোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ড) এলাকায় প্রবেশ এবং গাজীপুর মহানগরী থেকে বাইরে যাওয়া বন্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসকের ভাওয়াল সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
দেশব্যাপী করোনা বিস্তারের ফলে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এস.এম তরিকুল ইসলাম।
তিনি জানান, গাজীপুর মহানগরী এলাকায় বিপুল সংখ্যক শিল্প, কল-কারখানা রয়েছে। এসব শিল্প প্রতিষ্ঠানে লাখ লাখ শ্রমিক কাজ করে থাকেন। এজন্য এখানে করোনাভাইরাসের বিস্তারের একটি বড় ঝুঁকি রয়েছে।
এছাড়া রাজধানীর প্রবেশ ও বাইরে আসার ক্ষেত্রেও ইতোমধ্যে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। তাই ঢাকায় প্রবেশের অন্যতম পথ গাজীপুরকে সম্পূর্ণ অবরুদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তবে চিকিৎসা ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহসহ ইত্যাদি জরুরি সেবা এই লকডাউনের আওতার বাইরে থাকবে বলে জানান তিনি।
গাজীপুর মহানগর পুলিশর কমিশনার মো. আনোয়ার হোসেন জানান, আমরা গাজীপুর মহানগর এলাকায় কাউকে প্রবেশ করতে দেব না এবং কাউকে বের হতেও দেব না। করোনাভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে এর চেয়ে ভালো উপায় এ মুহুর্তে আর নেই। কষ্ট হলেও এ সিদ্ধান্ত সকল নাগরিককে মেনে চলতে অনুরোধ করছি।
তিনি আরও জানান, এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য গাজীপুর মহানগরীতে প্রবেশের ১০টি পয়েন্টে চেক পোস্ট বসানো হয়েছে। ইতোমধ্যে ঢাকা-টাঙ্গাইল, ঢাকা-ময়মনসিংহ ও টঙ্গী-কালীগঞ্জ মহাসড়ক, কাশিমপুর, বাড়ীয়া ও টঙ্গীর কামারপাড়াসহ ১০টি পয়েন্টে পুলিশি তৎপর রয়েছে।
এদিকে নারায়াণগঞ্জ জেলা লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ এপ্রিল বুধবার থেকে এটি কার্যকর হবে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ সিদ্ধান্ত বলবৎ থাকবে। তবে জরুরি সেবা এর আওতার বাইরে থাকবে।
মঙ্গলবার রাতে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতরের (আইএসপিআর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, চিকিৎসা ও খাদ্যদ্রব্য সরবরাহসহ ইত্যাদি জরুরি সেবা এর আওতার বাইরে থাকবে।
প্রশাসন, সশস্ত্রবাহিনী ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে সম্মিলিতভাবে এ দায়িত্ব পালন করবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।◉