ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে কমে গেছে বরফ উৎপাদন, বিপাকে সমুদ্রগামী জেলেরা
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের কারণে বরফ উৎপাদন কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন পিরোজপুর ও শরণখোলা অঞ্চলের সমুদ্রগামী জেলে ও মৎস্যজী
বাংলাদেশ ফিশিং ট্রলার মালিক সমিতির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ও শরণখোলার মৎস্য ব্যবসায়ী এম সাইফুল ইসলাম খোকন বলেন, সাগরে মাছ ধরায় ৬৫ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে যখন জেলেরা সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নিয়েছেন তখনই শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিং হওয়ায় বরফকল চাহিদামতো বরফ দিতে পারছে না। এটা যেন মড়ার ওপর খাঁড়ার ঘা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এফবি মক্কা মদিনা ফিশিংবোটের মালিক রায়েন্দা বাজারের তহিদুল ইসলাম তালুকদার বলেন, বরফের অভাবে সাগরে ধরা মাছ ফিশিংবোটের মধ্যেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
পিরোজপুরের পাড়েরহাটের মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সম্পাদক মো. মোস্তফা আকন, মৎস্য আড়তদার আনোয়ার হোসেন এবং দুবলা ফিশারমেন গ্রুপের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক শাহানুর রহমান শামিম বলেন, বরফ সংকটের কারণে পাড়েরহাটের ফিশিংবোটগুলো সময়মতো সাগরে যেতে না পেরে ঘাটে নোঙর করে থাকতে বাধ্য হচ্ছে। শরণখোলার রাজৈর মেঘনা বরফকলের ম্যানেজার মিহির কুমার সাহা বলেন, ঘণ্টায় ঘণ্টায় লোডশেডিংয়ে বরফ ঠিকমতো জমতে পারছে না। তাদের মিলে ২৪ ঘণ্টায় উৎপাদন ক্ষমতা ৯০০ ক্যান বরফ, সেখানে উৎপাদন হচ্ছে ২০০ ক্যান বরফ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৬/৭ ঘণ্টা বিদু্যত্ পাওয়া যায়, তাও এক ঘণ্টা পরপর। যে কারণে বরফ উৎপাদনে ধস নেমেছে। জেলেদের চাহিদামতো বরফ দেওয়া যাচ্ছে না বলে ঐ বরফকল ম্যানেজার জানান। মেঘা বরফকলের মালিক তালুকদার গোলাম মোস্তফা বলেন, ঘন ঘন লোডশেডিং হওয়ায় বরফ উৎপাদন অর্ধেকে নেমে গেছে। তার মিলে ২৪ ঘণ্টায় উৎপাদন ক্ষমতা আড়াইশ ক্যান বরফ, সেখানে বর্তমানে তৈরি হচ্ছে দেড়শর মতো। তাও ঠিকমতো জমছে না।
পিরোজপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির শরণখোলা আঞ্চলিক অফিসের এজিএম আশিক মাহমুদ সুমন ইত্তেফাককে বলেন, শরণখোলায় প্রতিদিন বিদ্যুতের প্রয়োজন রয়েছে ৯/১০ মেগাওয়াট। তার বিপরীতে গ্রিড থেকে পাওয়া যাচ্ছে ৩/৪ মেগাওয়াট বিদু্যত্। তা দিয়ে এলাকার চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। এখানকার লোডশেডিং নিরসনে তার করণীয় কিছু নেই বলে তিনি জানান।