চলতি বছরই যুদ্ধ শেষ করতে চায় ইউক্রেন
চলতি বছরেই ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে চায় কিয়েভ। অংশীদারদের নিয়েই যুদ্ধের ইতি টানতে চায় দেশটি। এমন তথ্য জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর উপদেষ্টা ইউরি সাক। কিয়েভভিত্তিক ইন্টারফ্যাক্স-ইউক্রেন সংবাদ সংস্থার প্রতিবেদনে এ কথা বলা হয়।
শুক্রবার স্থানীয় সময় সন্ধ্যায় ইউরি সাক বলেন, যুদ্ধের শুরুতে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীতে প্রায় ২ লাখ সেনা ছিল। এখন আরো শক্তিশালী সেনাবাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। বর্তমানে প্রায় ১০ লাখ সেনা রয়েছে, যা দিয়ে এ বছরই মস্কোকে পরাস্ত করা সম্ভব।
ইউক্রেন-ফ্রান্স ফোরামে বক্তব্য দেয়ার সময় সাক বলেন, আমাদের লক্ষ্য থাকবে চলতি বছর ইউক্রেন ভূখণ্ডে এ যুদ্ধের পরিসমাপ্তি নিশ্চিত করা। ইউক্রেন এ বছর শত্রুকে পরাস্ত করতে সক্ষম এবং এমন অবস্থানে রয়েছে দেশটি।
এদিকে ইউক্রেনে যুদ্ধরত ভাড়াটে সেনাবাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিন রাশিয়া থেকে অস্ত্র পাওয়ার কথা জানিয়েছেন। তবে তিনি আরো অস্ত্রের জোগান চেয়েছেন মস্কোর কাছে। এছাড়া বাখমুতের যুদ্ধে ব্যাপক ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে সেনাবাহিনীর পদ পূরণ করতে চাইছেন প্রিগোজিন। এজন্য রাশিয়ার ৪২ শহরে নিয়োগ কেন্দ্র খুলেছেন তিনি। অডিও বার্তায় প্রিগোজিন বলেন, ‘নতুন যোদ্ধারা আসছে। রুশ সেনাবাহিনী থেকে গোলাবারুদ সরবরাহ বাড়লেও এখনো উদ্বেগের অনেক বিষয় আছে।’ নতুন ঠিক কত যোদ্ধা বাহিনীতে যুক্ত হচ্ছেন, সেটি স্পষ্ট করেননি প্রিগোজিন।
তিনি বলেন, ‘ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনীর তীব্র প্রতিরোধ সত্ত্বেও আমরা এগিয়ে যাব। যেকোনো বাধা আমরা অবশ্যই কাটিয়ে উঠব।’ সোশ্যাল মিডিয়ায় শুক্রবার একটি পোস্টে প্রিগোজিন বলেন, ‘বাখমুত ঘিরে পাল্টা আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে ইউক্রেন। এটি যাতে না ঘটে তার জন্য আমরা যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।’
এদিকে কিয়েভ-বাখমুতসহ দেশটির বিভিন্ন এলাকায় মিলেছে রুশ তাণ্ডবের প্রমাণ। এ অবস্থায় প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির অভিযোগ, সার্বিকভাবে ইউক্রেনকে কোণঠাসা করতেই হামলার ব্যাপকতা বাড়িয়েছে রাশিয়া।
সম্প্রতি স্যাটেলাইট থেকে তোলা ছবিতে দেখা গেছে, বাখমুত, কিয়েভসহ বিভিন্ন স্থানে চালানো ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসংখ্য বেসামরিক স্থাপনা। যার মধ্যে রয়েছে হাসপাতাল, স্কুলের মতো স্থাপনাও।
জেলেনস্কি বলেন, ‘আমাদের জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সরবরাহ কেন্দ্রই ছিল রুশ ক্ষেপণাস্ত্রের মূল লক্ষ্য। হামলার পর রাজধানী কিয়েভসহ বহু এলাকা এখন অন্ধকারে। আমাদের খাবার নেই, পানি নেই। তবে এপি বলছে, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী কিয়েভের অধিকাংশ এলাকায়ই বিদ্যুৎ ফিরেছে।’