চীনা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট ব্লক করল টুইটার
শিংজিয়াং-এ উইঘুর নারীদের সঙ্গে অমানবিক আচরণের কারণে চীনা দূতাবাসের অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে টুইটার।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে চীনের দূতাবাস বলেছে, উইঘুর নারীদের সন্তান জন্মদানের মেশিন হিসাবে ব্যবহার করা যাবে না।
মিডল ইস্ট আই জানিয়েছে, এ ধরনের মন্তব্যকে অমানবিক আচরণ অভিহিত করে টুইটার কর্তৃপক্ষ শনিবার চীনা দূতাবাসের টুইট অ্যাকাউন্ট ব্লক করেছে।
উইঘুর নারীদের জোরপূর্বক বন্ধ্যা করতে চীনা কর্তৃপক্ষের কর্মসূচি সম্পর্কে টুইটারে সহস্রাধিক মানুষ অভিযোগ তুলেছেন। তারপর গত শনিবার এ সম্পর্কে যুক্তরাষ্ট্রের চীনা দূতাবাস এ ধরনের বক্তব্য দেয়।
টুইটারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে পর্যালোচনার পর দেখা গেছে চীনা কর্তৃপক্ষ ধর্মবর্ণ বা বর্ণের ভিত্তিতে এ ধরনের অমানবিক নিষেধাজ্ঞার ব্যবস্থা নিয়েছে, যা আমাদের নীতিমালার বরখেলাপ।
চীনা দূতাবাস পরে টুইটে দেওয়া বিবৃতি মুছে ফেলে। যেখানে বলা হয়েছিল চরমপন্থা নির্মূলের অংশ হিসাবে উইঘুর নারীদের লৈঙ্গিক সাম্যতা বজায় রাখতে ও তাদের প্রজনন স্বাস্থ্য উন্নতির জন্যে ঘন ঘন সন্তান জন্ম দেওয়া বন্ধ করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, যা তাদের আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলবে।
সন্তান ধারণের অধিকার থেকে শুরু করে উইঘুর নাগরিকদের ব্যক্তিজীবনেও হস্তক্ষেপ করছে চীনা প্রশাসন। উইঘুর মুসলিম নারীদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে গর্ভপাত করতে বাধ্য করা হচ্ছে।
বন্ধ্যাত্বকরণেও বাধ্য করা হচ্ছে। শুধু উইঘুরদেরই নয়, কাজাখ ও তিব্বতিয়ানদের সঙ্গেও একই আচরণ করা হচ্ছে। অবাধে চলছে গণহত্যা।❐