চীনের উহানে আবারও করোনা সংক্রমণ
করোনাভাইরাস মহামারির প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়া চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে নতুন করে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ধরা পড়েছে। শহরটি থেকে লকডাউন তুলে দেওয়ার প্রায় এক মাস পর আবার নতুন করে সংক্রমণ শুরু হয়েছে।
গত বছরের ডিসেম্বরের শেষদিকে উহান থেকেই প্রাণঘাতী নতুন করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল।
লকডাউন তুলে নেওয়ায় শহরটিতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খুলেছে, বেড়েছে জনসমাগম। এমন পরিস্থিতিতে নতুন করে সংক্রমণ রোগটি ব্যাপকভাবে ফের ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
সোমবার উহান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সেখানে করোনার ক্লাস্টার সংক্রমণ শুরু হয়েছে। নতুন করে পাঁচজন আক্রান্ত হয়েছেন। আক্রান্ত পাঁচজন একই আবাসিক কমপাউন্ডের মধ্যে বাস করেন।
গত দুই মাসে নতুন সংক্রমণগুলো চীনের আবাসিক এলাকা ও হাসপাতালেই দেখা গেছে।
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আরও ১৪ জনকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন। শনিবার তারা জানায়, নতুন আক্রান্তদের মধ্যে উহানেরও একজন আছেন।
গত এক মাস পর এই প্রথম চীনের কেন্দ্রীয় প্রদেশ হুবেইয়ের রাজধানীতে আবারও করোনা সংক্রমণ শনাক্ত করা হলো। মার্চ থেকে উহানে ভাইরাসের দাপট কমতে শুরু করে; সর্বশেষ গত ৩ এপ্রিল সেখানে কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল।
গত বৃহস্পতিবার চীনের কেন্দ্রীয় সরকার সমগ্র দেশকে নিম্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করার দুদিন বাদেই সংক্রমণের হার বৃদ্ধি লক্ষ্য করা গেছে। শনিবার করোনা সংক্রমণের একটি ক্লাস্টার শনাক্ত হয় উত্তরপূর্বের জিলিন প্রদেশের শুলান শহরে।
বৃহস্পতিবার চীন কর্তৃপক্ষ দেশটির সব এলাকাকে ভাইরাস সংক্রমণের জন্য ‘কম ঝুঁকিপূর্ণ’ ঘোষণা করে। তার দুইদিনের মাথায়ই উহানে একজনসহ ১৪ জন নতুন আক্রান্ত শনাক্তের তথ্য রোববার জানিয়েছে চীন। গত ২৮ এপ্রিলের পর থেকে চীনে আক্রান্তের সংখ্যা এটিই সর্বোচ্চ।
উহানে শনাক্ত নতুন আক্রান্তদের উপসর্গ আগে ধরা পড়ে নি বলে চীনের হেলথ কমিশন জানিয়েছে।
রোববার চীন কর্তৃপক্ষ উপসর্গবিহীন আরও ২০ জনের কোভিড-১৯ শনাক্তের খবর দিয়েছে। ১ মে’র পর দেশটিতে এদিনই সবচেয়ে বেশি উপসর্গবিহীন আক্রান্ত শনাক্ত হল। তবে নতুন কেউ মারা যাওয়ার কোনও খবর পাওয়া যায় নি।
চীনের স্বাস্থ্য কমিশনের তথ্যানুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত দেশটিতে নতুন করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮২ হাজার ৯০১ জনে; মৃত্যু হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৩ জনের।
চীন সরকার শুক্রবার জানিয়েছে,দেশটিতে ধীরে ধীরে সিনেমা, জাদুঘর এবং অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলি আবার চালু করা হবে। যদিও বিধিনিষেধ কার্যকর থাকবে।◉
রয়টার্স