Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
December 21, 2024
হেডলাইন
Homeআন্তর্জাতিকচীনের বন্দীশিবিরে গণধর্ষণের শিকার উইঘুর নারীরা

চীনের বন্দীশিবিরে গণধর্ষণের শিকার উইঘুর নারীরা

চীনের বন্দীশিবিরে গণধর্ষণের শিকার উইঘুর নারীরা

চীনের শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলিমদের জন্য যেসব ‘পুনঃশিক্ষণ’ কেন্দ্র পরিচালিত হচ্ছে— তাতে নারীরা পরিকল্পিতভাবে ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও অত্যাচারের শিকার হচ্ছেন।

সম্প্রতি প্রকাশিত বিবিসির দীর্ঘ প্রতিবেদনে কয়েকজন ভুক্তভোগীর বয়ানে ওঠে এসেছে সেই সব ঘটনা।

তেমন নারীদের একজন তুরসুনে জিয়াউদুন। তিনি বলেন, ‘তখন কোন মহামারি চলছিল না কিন্তু ওই লোকগুলো সব সময়ই মুখোশ পরে থাকতো। তারা স্যুট পরতো, পুলিশের পোশাক নয়। কখনও কখনও তারা আসত মধ্যরাতের পরে। সেলের মধ্যে এসে তারা ইচ্ছামতো কোন একজন নারীকে বেছে নিত। তাদের নিয়ে যাওয়া হতো করিডরের আরেক মাথায় ‘কালো ঘর’ বলে একটি কক্ষে। ওই ঘরটিতে নজরদারির জন্য কোনও ক্যামেরা ছিল না।’

জিয়াউদুন বলেন, বেশ কয়েক রাতে তাকে এভাবেই নিয়ে গিয়েছিল ওরা।

‘হয়ত এটি আমার জীবনে এমন এক কলঙ্ক – যা আমি কখনও ভুলতে পারব না। এসব কথা আমার মুখ দিয়ে বের হোক – এটাও আমি কখনও চাই নি।’

শিনজিয়াং প্রদেশের গোপন বন্দীশিবিরের একটিতে জিয়াউদুন বাস করেছেন মোট ৯ মাস। তিনি বলেন, ওই সেলগুলো থেকে প্রতিরাতে নারীদের তুলে নিয়ে যাওয়া হতো, তারপর মুখোশ পরা এক বা একাধিক চীনা পুরুষ তাদের ধর্ষণ করত।

এসব বন্দীশিবিরে কোনও কোনও অনুমান অনুযায়ী ১০ লাখেরও বেশি নারী-পুরুষকে রাখা হয়েছে। চীনের বক্তব্য, উইঘুর ও অন্য সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের লোকদের পুনঃশিক্ষণের জন্যই এসব শিবির।

উত্তর পশ্চিম চীনের শিনজিয়াং প্রদেশের তুর্কি মুসলিম সংখ্যালঘু এই উইঘুরদের সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো বলছে, সরকার উইঘুরদের ধর্মীয় ও অন্য স্বাধীনতার ক্রমে ক্রমে হরণ করেছে এবং গণ-নজরদারি, বন্দিত্ব, মগজ ধোলাই এবং জোরপূর্বক বন্ধ্যাকরণ পর্যন্ত করানোর এক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে।

চীনা প্রেসিডেন্ট শি চিনপিং এই নীতির উদ্গাতা। ২০১৪ সালে উইঘুর বিচ্ছিন্নতাবাদীদের চালানো এক সন্ত্রাসী হামলার পর তিনি শিনজিয়াং সফর করেছিলেন।

মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমসের পাওয়া গোপন দলিল অনুযায়ী – তিনি স্থানীয় কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছিলেন, এর জবাবে ব্যবস্থা নেওয়ার সময় ‘কোনও রকম দয়ামায়া দেখানো চলবে না।’

মার্কিন সরকার গত মাসে বলেছে, শিনজিয়াংয়ে চীনের এসব কর্মকাণ্ড গণহত্যার শামিল। যদিও চীন একে ‘মিথ্যা ও উদ্ভট অভিযোগ’ বলে বর্ণনা করেছে।

এসব বন্দীশিবিরের ভেতর থেকে বাসিন্দাদের কারও বক্তব্য খুবই দুর্লভ। তবে সাবেক বন্দী ও প্রহরীদের বেশ কয়েকজন বিবিসিকে বলেছেন, তারা পরিকল্পিত গণধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন ও অত্যাচারের শিকার হয়েছেন বা এর প্রমাণ পেয়েছেন।

তুরসুনে জিয়াউদুন এখন যুক্তরাষ্ট্রে থাকেন। শিনজিয়াং থেকে পালিয়ে গিয়ে প্রথম কিছুকাল তিনি ছিলেন কাজাখাস্তানে। সেখানে তিনি সার্বক্ষণিক ভয়ের মধ্যে ছিলেন যে তাকে বোধ হয় আবার চীনে ফেরত পাঠানো হবে। তার মনে হতো, তিনি বন্দীশিবিরে যে পরিমাণ যৌন নির্যাতন দেখেছেন ও তার শিকার হয়েছেন – সে কাহিনি সংবাদমাধ্যমকে বললে তাকে শিনজিয়াং ফেরত পাঠানোর পর আরও নির্যাতনের শিকার হতো।

জিয়াউদুন যা বলছেন – তা পুরোপুরি যাচাই করা অসম্ভব, কারণ চীনে রিপোর্টারদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়।

শিনজিয়াং প্রদেশের ওই এলাকাটি কাজাখস্তান সীমান্তের পাশেই এবং সেখানে বহু জাতিগতভাবে কাজাখ লোকও বাস করে।

জিয়াউদুনের বয়স ৪২ । তার স্বামীও একজন কাজাখ। ২০১৬ সালে তারা কাজাখস্তানে পাঁচ বছর থাকার পর শিনজিয়াং ফিরে গেলে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়, পাসপোর্ট জব্দ করা হয়। কয়েক মাস পরে পুলিশ তাদের বলে যে তাদের উইঘুর ও কাজাখদের একটি সভায় যোগ দিতে হবে। সেখানেই তাদের গ্রেপ্তার ও বন্দী করা হয়।

প্রথম দিকে তাদের বন্দী অবস্থায় ভালো খাবার দেওয়া হতো, ফোনও দেওয়া হতো।

এক মাস পরে তার পেটে আলসার ধরা পড়লে জিয়াউদুন ও তার স্বামীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তার স্বামীর পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হলে তিনি কাজাখস্তানে ফিরে যান, কিন্তু জিয়াউদুনের পাসপোর্টটি দেওয়া হয় নি। ফলে তিনি শিনজিয়াংএ আটকা পড়েন।

এ অবস্থায় ২০১৮ সালের মার্চ মাসে তাকে একটি থানায় রিপোর্ট করতে বলা হয়। সেখানে গেলে পুলিশ তাকে জানায়, তার আরও ‘শিক্ষা’ দরকার। জিয়াউদুন জানান, এরপর তাকে কুনেস কাউন্টিতে সেই একই বন্দীশিবিরে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি বলেন, ততদিনে কেন্দ্রটি আরও উন্নত করা হয়েছে এবং তার সামনে নতুন বন্দী নামানোর জন্য সব সময় বাসের ভিড় লেগে থাকতো। বন্দীশিবিরে আনার পর তাদের অলংকার খুলে ফেলা হয়। জিয়াউদুনের কানের দুল ছিঁড়ে নেওয়া হলে তার কান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে।

একজন বয়স্ক নারী – যার সঙ্গে পরে জিয়াউদুনের বন্ধুত্ব হয় – তার মাথার হিজাব টেনে খুলে নেওয়া হয়, রক্ষীরা লম্বা পোশাক পরার জন্য তার প্রতি চিৎকার করতে থাকে।

‘সেই বয়স্ক মহিলাটির অন্তর্বাস ছাড়া আর সব কাপড় খুলে নেওয়া হয়। মহিলাটি দু হাত দিয়ে তার লজ্জা ঢাকা চেষ্টা করতে থাকেন।’

বন্দী অবস্থায় কয়েক মাস ধরে তাদের বিভিন্ন প্রচারণামূলক অনুষ্ঠান দেখানো হতো। তাদের চুলও কেটে ছোট করে দেওয়া হয়েছিল। জিয়াউদুনকে তার স্বামী সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করত পুলিশ। বাধা দিলে তাকে একবার এমনভাবে পেটে লাথি মেরেছিল যে তার রক্তপাত হতে থাকে।

বাংকবেড-বিশিষ্ট একেকটি কারাকক্ষে ১৪ জন নারীকে রাখা হতো। তাতে ছিল একটি বেসিন ও একটি টয়লেট। প্রথম দিকে যখন রাতে মেয়েদের তুলে নিয়ে যাওয়া হতো তখন জিয়াউদুন ব্যাপারটা বুঝতে পারেন নি। তিনি ভেবেছিলেন হয়তো এই মেয়েদের অন্য কোথাও নিয়ে যাওয়া হচ্ছে।

পরে ২০১৮ সালের মে মাসের কোনও একদিন, জিয়াউদুন এবং আরেকটি মেয়েকে – যার বয়স ছিল ২০এর কোঠায় – তুলে নিয়ে একজন মুখোশপরা চীনা পুরুষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দুজনকে নেওয়া হয় দুটি আলাদা ঘরে।

যে নারী তাদের সেল থেকে নিয়ে এসেছিল – সে ওই লোকদের জানায় যে সম্প্রতি জিয়াউদুনের রক্তপাত হয়েছে। এ কথা বলার পর একজন চীনা লোক তাকে গালাগালি করে। মুখোশ পরা লোকটি বলে ‘ওকে অন্ধকার ঘরে নিয়ে যাও।’

‘মহিলাটি আমাকে সেই অন্ধকার ঘরে নিয়ে যায়। তাদের হাতে একটা ইলেকট্রিক লাঠির মতো ছিল – সেটা কি জিনিস আমি জানি না। সেটা আমার যৌনাঙ্গে ঢুকিয়ে দেওয়া হলো, আমাকে বৈদ্যুতিক শক দিয়ে নির্যাতন করা হলো।’

সেই মহিলাটি তখন আমার শারীরিক অবস্থার কথা বলে বাধা দেওয়ায় নির্যাতন বন্ধ হলো, আমাকে সেলে ফেরত পাঠানো হলো। ঘণ্টাখানেক পর দ্বিতীয় মেয়েটিকেও সেলে ফিরিয়ে আনা হলো – যাকে জিয়াউদুনের পাশের ঘরে পাঠানো হয়েছিল।

‘তার পর থেকে মেয়েটি একেবারে অন্যরকম হয়ে যায়। সে কারো সঙ্গে কথা বলতো না। এক একা বসে শূন্যদৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতো। ওই সেলের অনেকেই এমন হয়ে গিয়েছিল।’

শিনিজিয়াংএর বন্দী শিবিরে ১৮ মাস ছিলেন, এমন আরও একজনের সঙ্গে বিবিসির কথা হয়েছে। তিনি হচ্ছেন কাজাখ নারী গুলজিরা আউয়েলখান। তাকে বাধ্য করা হয়েছিল উইঘুর নারীদের কাপড় খুলে তাদের উলঙ্গ করতে, এবং তারপর তাদের হাতকড়া লাগাতে।

তার পর তিনি ওই নারীদের একটি ঘরে রেখে যেতেন – যেখানে থাকত কয়েকজন চীনা পুরুষ। পরে, তার কাজ ছিল ঘরটা পরিষ্কার করা।

‘আমার কাজ ছিল ওই মেয়েদের কোমর পর্যন্ত কাপড়চোপড় খোলা এবং এমনভাবে হাতকড়া লাগানো যাতে তারা নড়তে না পারে। তাদের ঘরে রেখে আমি বেরিয়ে যেতাম। তার পর সেই ঘরে একজন পুরুষ ঢুকত। সাধারণত বাইরে থেকে আসা কোনও চীনা লোক, বা পুলিশ। আমি দরজার পাশে নীরবে বসে থাকতাম। লোকটি ঘর থেকে বেরিয়ে গেলে আমি ওই নারীটিকে স্নান করাতে নিয়ে যেতাম।’

‘বন্দীদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী ও কম বয়স্ক মেয়েদের পাওয়ার জন চীনা পুরুষেরা টাকাপয়সা দিতো।’

এতে বাধা দেওয়া বা হস্তক্ষেপ করার কোনও ক্ষমতা তার ছিল না। কিছু সাবেক বন্দীকেও বাধ্য করা হতো প্রহরীদের সাহায্য করতে। সেখানে পরিকল্পিত ধর্ষণের ব্যবস্থা ছিল কিনা প্রশ্ন করে গুলজিরা আওয়েলখান বলেন, ‘হ্যাঁ, ধর্ষণ।’

কিছু মেয়ে – যাদের সেল থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল – তারা আর কখনও ফিরে আসে নি, বলছিলেন জিয়াউদুন। যারা ফিরে এসেছিল তাদের হুমকি দেওয়া হয়েছিল – কি ঘটেছে তা যেন তারা কাউকে না বলে।

শিনজিয়াং প্রদেশের চীনের নীতি বিষয়ে একজন বিশেষজ্ঞ অ্যাড্রিয়ান জেঞ্জ বলছিলেন, এই রিপোর্টের জন্য যেসব সাক্ষ্যপ্রমাণ তারা পেয়েছেন তা ভয়াবহ এবং তারা আগে যা ভেবেছিলেন – তার চেয়ে অনেক বেশি গুরুতর।

সেলের পাশাপাশি বন্দীশিবিরগুলোর আরেকটা অংশ ছিল স্কুলের শ্রেণিকক্ষ। এখানে শিক্ষক এনে বন্দীদের ‘নতুন করে শিক্ষাদান’ করা হতো – অধিকারকর্মীদের মতে যার লক্ষ্য ছিল উইঘুর ও অন্য সংখ্যালঘুদের তাদের সংস্কৃতি, ভাষা ও ধর্ম ভুলিয়ে দিয়ে চীনা সংস্কৃতির মূলধারায় তাদের দীক্ষিত করা।

বন্দীদের সেখানে চুল কেটে দেওয়া হতো। তারা ক্লাসে যেতো, তাদের এমন সব ডাক্তারি পরীক্ষা করা হতো যার কোনও ব্যাখ্যা পাওয়া যেত না, তাদের বড়ি খেতে হতো, প্রতি ১৫ দিনে একবার করে ‘টিকা’ দেওয়া হতো – যার ফলে তাদের বমি বমি লাগত, শরীর অসাড় হয়ে যেত। কোনও কোনও নারীর দেহে জোর করে জন্মনিরোধক আইইউডি লাগিয়ে দেওয়া হতো, কাউকে বা বন্ধ্যাকরণ করানো হতো।

বন্দীদের চীনা দেশপ্রেমের গান গাইতে হতো ঘণ্টার পর ঘণ্টা, দেখতে হতো শি চিনপিংকে নিয়ে তৈরি দেশপ্রেমমূলক টিভি অনুষ্ঠান। শি চিনপিং সংক্রান্ত বইয়ের অনুচ্ছেদও মুখস্থ করতে হতো তাদের। মুখস্থ বলতে না পারলে খাবার দেওয়া হতো না।

জিয়াউদুন বলছিলেন, ‘ক্যাম্পের বাইরের জীবনের কথা ভাবতে ভুলে যাবেন আপনি। এটা কি মগজ ধোলাইয়ের জন্য নাকি ইনজেকশনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া – তা আমি জানি না। কিন্তু পেট ভরে খাবার ইচ্ছে ছাড়া আর কিছুই আপনি চিন্তা করতে পারবেন না। না খাইয়ে রাখাটা এতই ভয়াবহ।’

বই মুখস্থ করার পরীক্ষায় ফেল করলে বিভিন্ন রঙের কাপড় পরিয়ে আলাদা করা হতো বন্দীদের, তারপর চলতো মারধর এবং অনাহারে রাখা।

জিয়াউদুন বলেন, ‘নির্যাতনকারীরা শুধু ধর্ষণই করত না, সারা শরীরে কামড়াত। আপনি বুঝবেন না যে তারা মানুষ না পশু। শরীরের কোনও অংশই তারা বাকি রাখত না, সবখানে কামড়াত আর তাতে বীভৎস সব দাগ হয়ে যেত। তিনবার আমার এ অভিজ্ঞতা হয়েছে।’

তার সেলে থাকা আরেকটি মেয়ে জিয়াউদুনকে বলেছিল, তাকে আটক করা হয়েছিল বেশি বেশি সন্তান জন্ম দেওয়ার কারণে। এই মেয়েটিকেও তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং তিনদিন বাদে সেলে ফিরে আসার পর দেখা যায় – তার শরীরেও একই রকম কামড়ের দাগ।

চীনা সরকার ধর্ষণ ও অত্যাচার সম্পর্কে বিবিসির প্রশ্নের সরাসরি জবাব দেয় নি। একজন মুখপাত্র এক বিবৃতিতে বলেন, এগুলো বন্দীশিবির নয়, বরং বৃত্তিমূলক শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের কেন্দ্র। চীনা সরকার সকল জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠীর অধিকার সমানভাবে রক্ষা করে এবং নারী অধিকারকে ব্যাপক গুরুত্ব দেয়।

এদিকে কিছু স্বাধীন গবেষণায় দেখা গেছে, শিনজিয়াং প্রদেশে গত কয়েক বছরে জন্মহার অনেকটা কমে গেছে। বিশ্লেষকেরা অনেকে একে ‘জনসংখ্যাগত গণহত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন।❐

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment