চীন রাশিয়াকে প্রাণঘাতী সহায়তার বিষয়ে সীমা অতিক্রম করেনি: ব্লিংকেন
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিংকেন জানিয়েছেন, চীন কূটনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করলেও রাশিয়াকে যথেষ্ট সামরিক সহায়তা দেয়নি। এক্ষেত্রে দেশটি সীমা অতিক্রম করেনি। চীন রাশিয়াকে ‘প্রাণঘাতী সহায়তা’ দিয়েছে কি না, সে বিষয়ে বুধবার (২২ মার্চ) সিনেট কমিটির সামনে এক প্রশ্নের জবাবে ব্লিনকেন এ কথা বলেন। খবর রেডিও ফ্রি ইউরোপের।
তিনি আরও বলেন, ‘আজকে আমরা যেমন বলছি, আমরা তাদের সীমা অতিক্রম করতে দেখিনি।’ ব্লিংকেন কয়েক সপ্তাহ ধরে প্রকাশ্যে সতর্কতা দিয়ে জানিয়েছেন, ইউক্রেনের যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে সশস্ত্র করার কথা ভাবছে চীন।
কিছু সংবাদ মাধ্যমেও আভাস দেয়া হয়েছে, চীনের কোম্পানিগুলো মস্কোকে সীমিত পরিমাণে অস্ত্র সরবরাহ করেছে। এদিকে, চলতি সপ্তাহে মস্কো সফরকালে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছেন, তাতে সন্দেহ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন আশঙ্কা করছে, রাশিয়া তার বাহিনী পুনর্গঠনের জন্য এই বিরতিটি ব্যবহার করবে। ব্লিংকেন চীন প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আমি মনে করি, রাশিয়ার প্রতি তাদের কূটনৈতিক সমর্থন, রাজনৈতিক সমর্থন ও বস্তুগত সমর্থন অবশ্যই এই যুদ্ধের অবসানে আমাদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।’
রিপাবলিকান সিনেটর লিন্ডসে গ্রাহাম প্রশ্ন করেছেন, পুতিন যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে পা রাখলে তাকে গ্রেফতার করা হবে কি না? কারণ তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের পরোয়ানা রয়েছে।
এর জবাবে ব্লিংকেন জানান, তিনি আশা করেন না পুতিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করবেন। নভেম্বরে সান ফ্রান্সিসকোতে এশিয়া প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন ফোরামের শীর্ষ সম্মেলনে পুতিনকে আমন্ত্রণ জানানোর সম্ভাবনা খুবই কম। যদিও রাশিয়াও এই ফোরামের একটি অংশ।
হেগ ভিত্তিক আইসিসির সঙ্গে যুক্ত নয় যুক্তরাষ্ট্র। তাই ব্লিংকেন জানান, পুতিন যদি গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে অন্য দেশে যান, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র সেসব দেশকে তাকে প্রত্যর্পণে উৎসাহিত করবে। ব্লিংকেন বলেন, ‘আমি মনে করি, যারা এই আদালতের সদস্য, তাদের এই দায়িত্ব পালনের বাধ্যবাধকতা রয়েছে।’
