জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জন্মবার্ষিকী উদযাপন
জাতিসংঘের বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সহধর্মিণী ও বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব এর ৯০তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে। স্থানীয় সময় শনিবার (৮আগস্ট) স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে এ জন্মবার্ষিকী উদযাপন করা হয়।
আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে সামাজিক দূরত্ব মেনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে মিশনের সর্বস্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারী অংশগ্রহণ করেন।
অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতির পিতা ও বঙ্গমাতাসহ ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকদের বুলেটে নির্মমভাবে নিহত বঙ্গবন্ধু পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং দেশ ও জাতির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।
এরপর বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জীবন ও কর্মের ওপর নির্মিত বিশেষ প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। বঙ্গমাতার জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া ও বাণী পাঠ করা হয়।
আলোচনা পর্বের শুরুতে শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবের জীবন ও কর্ম এবং দেশ ও জাতিগঠনে তার অসমান্য অবদানের নানা দিক তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা।
রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেন, জাতির পিতার সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্ন ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছেন। বাংলাদেশ আর বঙ্গমাতার রেখে যাওয়া আদর্শ হতে বাংলাদেশের এই অদম্য অগ্রযাত্রার চাবিকাঠি।
জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রদত্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য থেকে নানা উদ্ধৃতি উল্লেখ করে বঙ্গমাতার জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত।
আলোচনা পর্বে মিশনের সকল স্তরের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন। তারা বলেন, বঙ্গমাতা ছিলেন বঙ্গবন্ধুর একজন সহযোদ্ধা ও বিশ্বস্ত সহচর।❏