জাপানে কভিডের শেষ দিন আজ
করোনাভাইরাসকে আনুষ্ঠানিকভাবে সাধারণ স্তরে নামিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জাপান। এ অনুযায়ী আগামীকাল সোমবার (৮ মে) থেকে একসময়ের বৈশ্বিক আতঙ্কটি সাধারণ ফ্লু ভাইরাসের সমপর্যায়ের বিবেচিত হবে। খবর এনএইচকে।
সামাজিক ও অর্থনৈতিক কার্যক্রম সম্পূর্ণ স্বাভাবিকীরণের উদ্দেশ্যে সম্প্রতি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
কিয়োদো নিউজের তথ্য অনুযায়ী, বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরিকল্পনার পরিপ্রেক্ষিতে সীমান্ত নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থাও কিছুটা শিথিল হয়েছে।
বর্তমান নিয়ম অনুযায়ী দেশটিতে সব ধরনের প্রবেশকারীকে অবশ্যই তিনটি কভিড-১৯ ভ্যাকসিন বা যাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে করা করোনাভাইরাস টেস্টের ফলাফল উপস্থাপন করতে হয়। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্যানেলের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বর্তমান করোনাভাইরাস মহামারী পরিস্থিতি মূল্যায়ন ও দেশজুড়ে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থার জন্য আবার পরিকল্পনা করার অনুমতি দিয়েছেন।
প্যানেল জানিয়েছে, দেশব্যাপী ৯০ শতাংশ হাসপাতাল ও ক্লিনিকের প্রায় ৮ হাজার ৪০০ চিকিৎসাপ্রতিষ্ঠান ৫৮ হাজার পর্যন্ত কভিড-১৯ রোগীর সেবা দিতে প্রস্তুত।
স্বাস্থ্য, শ্রম ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী কাতসুনোবু কাতো কয়েকদিন আগে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, ‘নতুন করোনাভাইরাসের প্রতিক্রিয়ায় সরকার যে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে, সেটি শেষ হবে ৭ মে।’
জাপানে কভিড-১৯ একটি বিশেষ শ্রেণীর ভাইরাস হিসেবে চিহ্নিত ছিল। যা ক্লাস-২-এর সমতুল্য বা তার চেয়ে মারাত্মক। এটি যক্ষ্মা ও গুরুতর তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সিন্ড্রোম বা সার্চের (এসএআরএস) মতো সংক্রামক রোগের সমপর্যায়ের।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগামীকাল থেকে কভিড-১৯-কে ইনফ্লুয়েঞ্জার মতো পঞ্চম স্তরের রোগ হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করা হবে। যার অর্থ সংক্রমণ বাড়লেও আর জরুরি অবস্থা জারি করা হবে না।
আউটডোর রোগীর চিকিৎসা ও হাসপাতালে ভর্তির জন্য করোনাভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত সরকারি চিকিৎসা ব্যয়ও বন্ধ করা হবে। কিন্তু কিছু সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ মহামারী-পূর্ব নিয়মাবলির দ্রুত প্রত্যাবর্তন সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। বয়স্ক ও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত অন্যদের সুরক্ষার জন্য মাস্ক ব্যবহার অব্যাহত রাখার ওপর জোর দেন তারা।
ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব হেলথ অ্যান্ড ওয়েলফেয়ারের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক টেটসুয়া বলেন, ‘করোনাভাইরাস মহামারীর আগে মানুষ যেভাবে বাইরে বের হতে শুরু করেছিল, সেটি এখনো উচ্চঝুঁকিতে রয়েছে।’