Our Concern
Ruposhi Bangla
Hindusthan Surkhiyan
Radio Bangla FM
Third Eye Production
Anuswar Publication
Ruposhi Bangla Entertainment Limited
Shah Foundation
Street Children Foundation
March 13, 2025
হেডলাইন
Homeঅর্থনীতিজিডিপি নিয়ে সিপিডির তথ্য আন্দাজনির্ভর : অর্থমন্ত্রী

জিডিপি নিয়ে সিপিডির তথ্য আন্দাজনির্ভর : অর্থমন্ত্রী

জিডিপি নিয়ে সিপিডির তথ্য আন্দাজনির্ভর : অর্থমন্ত্রী

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যের বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সমালোচনা করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, সিপিডি গত ১০ বছরে আমাদের তথ্য-উপাত্ত কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করছে। আমরা বাজেট দিলেই তাদের একটা অনুষ্ঠান করার সময় এসে যায়। তাদের তথ্য আন্দাজনির্ভর।

সোমবার (১৭ আগস্ট) চলতি অর্থবছরের রাজস্ব আদায় পরিকল্পনা ও বিবিধ সংক্রান্ত ভার্চুয়াল সভাশেষে ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।

জিডিপির প্রবৃদ্ধি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, ‘দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধির হিসাব যারা করেন তাদের দুটি ভিত্তির ওপর নির্ভর করতে হয়। এর একটি হচ্ছে তথ্য, অন্যটি অনুমাননির্ভর। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো তথ্যের ওপর ভিত্তি করে জিডিপির প্রবৃদ্ধি হিসাব করে। সিপিডি যদি আন্দাজনির্ভর জিডিপি নিয়ে কথা বলে তাহলে সেটা কতটা গ্রহণযোগ্য তা নিজেরাই বুঝতে পারেন।’

সদ্যসমাপ্ত ২০১৯-২০ অর্থবছরের মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রবৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) যে তথ্য দিয়েছে তার সমালোচনা করে গতকাল রোববার (১৬ আগস্ট) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) পক্ষ থেকে বলা হয়, এ ধরনের পরিসংখ্যান দেয়ার কারণে বাংলাদেশের পরিসংখ্যান বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে এবং জিপিডির প্রবৃদ্ধি এখন একটা রাজনৈতিক সংখ্যায় পরিণত হয়েছে। এজন্য পরিসংখ্যানের সঠিক চিত্র তুলে ধরতে একটি স্বাধীন কমিশন গঠনের দাবিও তোলে প্রতিষ্ঠানটি।

তার আগে বিবিএসের পক্ষ থেকে ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২৪ শতাংশ অর্জিত হয়েছে বলে তথ্য প্রকাশ করা হয়। তবে এর আগে সিপিডির পক্ষ থেকে পূর্বাভাস দেয়া হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে জিডিপির প্রবৃদ্ধি ২ দশমিক ৫ শতাংশ হতে পারে। অর্থাৎ সিপিডি যে পূর্বাভাস দিয়েছিল, সরকারি হিসাবে জিডিপির প্রবৃদ্ধি তার দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সিডিপির ব্যবসা সহজ। তবে আমি তাদের বিরুদ্ধে কিছু বলবো না। তারা আছে বলেই আমরা আরও অনুপ্রাণিত হই। আরও বেশি শক্তিশালী হওয়ার জন্য আত্মপ্রত্যয়ী হই এবং আমরা কাজ দিয়ে প্রমাণের চেষ্টা করি।

তিনি বলেন, ‘তাদের কাছে তথ্য কোথায় আছে? কোন তথ্য তারা রাখে? তাহলে তারা এসব কিসের ভিত্তিতে বলছে? আন্দাজ, আন্দাজ করে বললেও তো… ওরা কি রাস্তাঘাট দেখে না? আমাদের পাওয়ার প্ল্যান্টগুলো দেখে না? আমাদের মেগা প্রজেক্টগুলো দেখে না? সবকিছু তারা দেখতে পায়, তারা যদি আমাদের রাজস্বের দিকে তাকাতো!

মুস্তফা কামাল বলেন, ‘২০১৮-১৯ অর্থবছরে যে পরিমাণ আমরা রাজস্ব আহরণ করেছি গত ২০১৯-২০ অর্থবছরেও তার কাছাকাছি রাজস্ব আহরণ হয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে দুই লাখ ২৩ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় হয়েছিল। আর এ করোনাকালেও ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজস্ব আহরণ হয়েছে দুই লাখ ১৮ হাজার কোটি টাকা। মাত্র পাঁচ হাজার কোটি টাকা কম। সুতরাং এ থেকেই তো বোঝা যায় জিডিপির প্রবৃদ্ধি কেমন হওয়ার কথা।’

‘আমি যদি আগের লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ৮ দশমিক ২ শতাংশ বলতাম, তাহলেও তারা বলতে পারতো এটা কীভাবে হলো? আমি তো ৮ দশমিক ২ শতাংশ প্রবৃদ্ধি বলিনি। আমি ৫ দশমিক ২ শতাংশ বলেছি। সুতরাং ৫ দশমিক ২ শতাংশের পরে তারা প্রশ্ন করবে… যাইহোক এ বিষয়ে আমি আর কথা বলতে চাই না।’

সরকার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে জিডিপি নির্ধারণ করে, আর এতদিন ধরে কাজ করে আসা সিপিডি আন্দাজের ওপর কথা বলছে, এটা কি যথার্থ? এমন প্রশ্নে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যা বলেছি যথার্থ। ওদের তাহলে আমাদের এক বছরের জিডিপি বের করে দিতে বলেন। আমাদের পরিসংখ্যান অফিস যেতে পারবে না, তারা নিজেরা পরিসংখ্যান দিক।’❏

Share With:
Rate This Article
No Comments

Leave A Comment