জ্ঞানবাপী মসজিদ প্রাঙ্গণে ‘পূজার আবেদন’র শুনানি হবে: আদালত
ভারতের উত্তরপ্রদেশের জ্ঞানবাপী মসজিদে পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে দায়ের করা আবেদনের শুনানিতে সম্মতি দিলেন বারাণসী জেলা আদালত। হিন্দু পক্ষের আবেদন মেনে শুনানি চালিয়ে যাওয়ার কথা জানান জেলা বিচারক অজয়কুমার বিশ্বাস।
আর মসজিদ কমিটির আবেদন আজ সোমবার খারিজ করে দিয়েছেন তিনি। আদালতের এই পর্যবেক্ষণ ঘিরে গোটা জেলায় বাড়ানো হয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা। মোতায়েন করা হয় অতিরিক্ত পুলিশ। তবে সহিংসতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আবেদনের মাধ্যমে মসজিদ কমিটির আইনজীবী অভয় নাথ বারাণসী জেলা আদালতকে জানিয়েছিলেন, ১৯৯১ সালের ধর্মীয় উপাসনাস্থল রক্ষা আইন অনুযায়ী এ-সংক্রান্ত আবেদনের শুনানি হতে পারে না। ব্রিটিশ আমলেও জ্ঞানবাপীর জমিতে মন্দির গড়ার দাবি উঠেছিল। ১৯৩৭ সালে বারাণসীর আদালতে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। ১৯৪২-এ ইলাহাবাদ হাইকোর্টও সেই রায় বহাল রেখেছিলেন।
গত বছরের আগস্টে পাঁচজন হিন্দু নারী মসজিদের পশ্চিম দেওয়ালে দেব-দেবীর মূর্তির অস্তিত্বের দাবি করে সেখানে পূজার্চনার অনুমতি চেয়ে বারাণসী আদালতে আবেদন করেন।
এই আবেদনের পর বিচারক রবিকুমার দিবাকর মসজিদ এলাকায় সমীক্ষা ও ভিডিওগ্রাফির নির্দেশ দিয়ে পর্যবেক্ষক দল গঠন করেন। সে সময় অজুখানায় শিবলিঙ্গের অস্তিত্বের প্রমাণ মিলেছে বলেও দাবি করা হয়।
এর পরই গেল ২০ মে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে মামলার শুনানির দায়িত্ব পান বারাণসী জেলা আদালত। আর সেই শুনানির ধারাই বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন বিচারক।
১৬৬৯ সালে মোঘল সম্রাট আওরঙ্গজেব বারাণসীতে ঐতিহাসকি জ্ঞানবাপী মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। এ মসজিদের পাশেই রয়েছে বারাণসীর ঐতিহাসিক কাশী বিশ্বনাথ মন্দির। উগ্র হিন্দুত্ববাদী আরআরএসসহ কিছু সংগঠনের দাবি জ্ঞানবাপী মসজিদ ও মথুরার একটি মসজিদ ছেড়ে দিতে হবে, যেখানে মন্দির নির্মাণ করতে চান তারা।