ট্রাম্পের বিপুল অর্থ মজুদ নিয়ে সিএনএনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন রাজনৈতিক কমিটি গত বছরের শেষ কয়েক সপ্তাহে ৩০ মিলিয়ন ডলার একাট্টা করে। ভোট জালিয়াতি ও নির্বাচনে জয় সংক্রান্ত বক্তব্য দিয়ে ট্রাম্প দাতাদের কাছ থেকে ওই অর্থ জড়ো করেছেন।
ট্রাম্পের সেভ আমেরিকা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি চলতি বছরের শুরুতেই ৩১ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলার মজুদ করতে শুরু করেছে। দ্বিতীয় দফায় ট্রাম্পের ইমপিচমেন্টের আগে কেন এই বিপুল পরিমাণ অর্থ মজুদ করা হচ্ছে তা নিয়ে সম্প্রতি একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিএনএন।
গত নভেম্বরের নির্বাচনে হারার কয়েক দিন পরেই ট্রাম্প সেভ আমেরিকা পলিটিক্যাল অ্যাকশন কমিটি গঠন করেন। তার আগের নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির প্রতি দাতাদের তহবিল তছরুপের অভিযোগ থাকায় ট্রাম্পকে নতুন এই কমিটি করতে হয় দাতাদের অর্থ গ্রহণে। বলা হচ্ছে, ট্রাম্প অভিশংসন ও পরবর্তী রাজনৈতিক ডামাডোল থেকে বাঁচতে এই মজুদ অর্থ ব্যবহার করবেন।
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, ট্রাম্প তার নতুন এই কমিটির অর্থ যে কোনও প্রার্থীর পেছনে ব্যয় করতে পারবেন, যেহেতু তিনি এখন আর প্রেসিডেন্ট নেই। ফেডারেল সরকার এসব তহবিল ব্যবহারে কিছু বিধিনিষেধ দিয়ে রেখেছে আগে থেকেই। কিন্তু এই তহবিল যে রাজনীতিকরা ব্যবহার করতে পারবেন না, এমন কোনও বিধিনিষেধ নেই। ফলে নিয়মের ফাঁক গলেই ট্রাম্প প্রস্তুতি নিচ্ছেন পরবর্তী লড়াইয়ের।
গত বছরের শেষের সপ্তাহগুলোতে সেভ আমেরিকা কমিটির তহবিল থেকে ২ লাখ ডলারের বেশি ব্যয় করা হয়েছে মার্চেন্ট ফি হিসেবে। নভেম্বরের ২৪ থেকে ডিসেম্বরের ৩১ তারিখের মধ্যে এই ব্যয় করা হয়। ট্রাম্পের আইনজীবীরা ভালো করেই জানেন, আসছে সপ্তাহগুলোতে ট্রাম্পকে তার প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়তে হতে পারে।
এমন অবস্থায় ট্রাম্প প্রথমে চাইবেন আইনি লড়াই চালিয়ে অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেতে। কিন্তু আটকে গেলে জরিমানা দিয়ে যাতে বের হতে পারেন, তাই এই বিপুল পরিমাণ অর্থ মজুদ করছেন তিনি। গত রবিবার সন্ধ্যায় তিনি ডেভিড চিয়ন এবং ব্রুস এল ক্যাস্টর জুনিয়র নামে নতুন দুই আইনজীবী নিয়োগ দেন।
সিএনএন বলছে, ইমপিচমেন্ট সংক্রান্ত জটিলতা থেকে বের হতে ট্রাম্পের নতুন কমিটি প্রায় সাড়ে ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যয়ের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে, যা দুই ডজন আইনি পরামর্শক প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হবে। এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের এই ব্যয়ের বৈধতা নিয়ে কোনও প্রশ্ন ওঠে নি। তবে ট্রাম্প যে তহবিল সংগ্রহের জন্য ছয়শ’রও বেশী ইমেইল ও ২২০টি টেক্সট মেসেজ করেছেন সেই রেকর্ড সিনেটের কাছে রয়েছে।❐