ট্রাম্প দ্বিতীয় ইমপিচমেন্ট
মার্কিন কংগ্রেস ভবনে নজিরবিহীন হামলার জেরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে ইমপিচমেন্ট করলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধ পরিষদের আইনপ্রণেতারা।
বিবিসি ও সিএনএন জানায়, প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ট্রাম্পকে বিদায়ের করতে ইমপিচমেন্টের (ইমপিচমেন্ট) প্রস্তাব পাস হয় কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে।
বুধবার ৪৩৫ সদস্যের প্রতিনিধি পরিষদে ২৩২-১৯৭ ভোটে প্রস্তাবটি পাস হয়। এরপর উচ্চকক্ষ সিনেটে পাস হলেই মেয়াদ শেষ হওয়ার মাত্র কয়েকদিন আগেই অসম্মানজনকভাবে বিদায় হয়ে যাবেন ট্রাম্প।
৬ জানুয়ারি কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটলে ‘সহিংস বিদ্রোহে’ উসকানি দেওয়ার জন্য দায়ী করে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রস্তাবটি পাস হয় প্রতিনিধি পরিষদে।
এর মধ্য দিয়ে ফের ইমপিচমেন্টের মুখে পড়লেন ট্রাম্প। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে ২০২০ সালে তার বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব পাস হয়েছিল প্রতিনিধি পরিষদে তবে সিনেটের ভোটাভুটিতে সেটি বাতিল হয়ে যায়।
ডেমোক্রেটিক পার্টির আনা এই প্রস্তাবে সমর্থন দেন ট্রাম্পের দল রিপাবলিকান পার্টির বেশ কিছু আইনপ্রণেতাও। সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনির মেয়ে লিজ চেনিসহ ১০ জন রিপাবলিকান নেতা এ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেন।
এখন সিনেটে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্য প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট দিলে প্রেসিডেন্ট ছাড়তে বাধ্য হবেন ট্রাম্প। সেখানে ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিকান সমান, যার মধ্যে অনেক রিপাবলিকান ক্যাপিটলে হামলার ঘটনায় ট্রাম্পের ওপর ক্ষুব্ধ।
মার্কিন নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডেমোক্র্যাটের জো বাইডেনের শপথ গ্রহণের আর মাত্র এক সপ্তাহ বাকি। ২০ জানুয়ারি তিনি হোয়াইট হাউসের দায়িত্ব নেবেন। এর মধ্যে ইমপিচমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ না হয় তাহলে ভবিষ্যতে আর কখনও ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না।
গত সপ্তাহের কংগ্রেস ভবনে অধিবেশন চলাকালীন হামলা চালিয়েছিল ট্রাম্পের উগ্রবাদী সমর্থকেরা। এতে পুলিশ কর্মকর্তাসহ পাঁচজন নিহত হন। এ ঘটনাকে মার্কিন ইতিহাসে কলঙ্কজনক অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।❐