ট্র্রাম্প পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলা
সোমবার নিউইয়র্কে শুরু হয়েছে মামলার শুনানি।শুনানি শুরু করা গেলেও ট্রাম্পবিরোধী ভাবমূর্তি নেই বা কখনো ট্রাম্পের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কঠোর অবস্থান নেননি এমন ১২ জন বিচারক খুঁজে বের করে বিচারকমণ্ডলি গঠন করা এখনো সম্ভব হয়নি। ট্রাম্পেরব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছেন তার বড় দুই ছেলে ডোনাল্ড ট্রাম্প জুনিয়র এবং এরিক ট্রাম্প। তাই মামলায় সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্টের নাম আসেনি।
ধারণা করা হচ্ছে, তাকে সাক্ষ্য দিতে আদালতে হাজির হতেও দেখা যাবে না। তারপরও বসে নেই ডোনাল্ড ট্রাম্প। বরাবরের মতো এখনো তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুব সক্রিয়।সেখানেই আক্রমণ শানাচ্ছেন মামলা প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালে অনুষ্ঠেয় যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে অংশ গ্রহণের ইচ্ছা রয়েছে তার। আগামী ৮ নভেম্বর কংগ্রেসের মধ্যবর্তী নির্বাচন।তাই এই মুহূর্তে তার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মামলাকে ভালো চোখে দেখছেন না ট্রাম্প।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ভীষণ পক্ষপাতদুষ্ট ডেমোক্র্যাটদের উইচ হান্টিং অব্যাহত, এবার নিউইয়র্কে… ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ মধ্যবর্তী নির্বাচনের ঠিক আগে। নিউইয়র্কের আদালতে শুরু হওয়া মামলায় ট্রাম্পের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ২০০৫ এবং ২০২১ সালে তাদের নির্বাহী কর্মকর্তাদের দেয়া ক্ষতিপূরণের অঙ্ক গোপন করার অভিযোগ আনা হয়েছে। ওই সময়ে ট্রাম্প এবং ট্রাম্পের পরিবারের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রধান অর্থনৈতিক কর্মকর্তা ছিলেন অ্যালেন ওয়াইসেলবার্গ।
গত বছর ম্যানহাটনের ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয় তার বিরুদ্ধে কর ফাঁকির অভিযোগ তোলে। ১৫ আগস্ট সেই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। সেখানে তিনি দোষী সাব্যস্ত হন। ধারণা করা হচ্ছে, নিউইয়র্কের মামলায় তার সাক্ষ্য গ্রহণের চেষ্টা করা হবে। ম্যানহাটনের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়ে প্রায় ২০ লাখ ডলার ক্ষতিপূরণ দিয়ে পাঁচ মাস কারাদণ্ড ভোগে রাজি হলেও ট্রাম্পের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিতে এখনো রাজি হননি অ্যালেন ওয়াইসেলবার্গ।